‘কাজে ভুল হলেই যাচ্ছেতাই অপমান করা হয়!’, ‘অসন্তোষ’ কমলা হ্যারিসের দফতরে
US: যদিও এ ধরনের অভিযোগের সত্যতা মানতে নারাজ হোয়াইট হাউজ। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের শত মুখে প্রশংসা করেছে তারা।
ওয়াশিংটন: মার্কিন ইতিহাসে প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট। কর্মক্ষেত্রে একটু সমস্যা হওয়ার কথাই ছিল। কিন্তু বাইডেন রাজত্ব শুরুর পর এত কম সময়ের মধ্যেই যে কমলা হ্যারিসকে নিয়ে অভিযোগের বোমা ফেটে পড়বে তা বোঝা যায়নি। ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সহযোগী ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের দাবি, তাঁর দফতরে নাকি চরম অব্যবস্থার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মার্কিন মুলুকের সংবাদমাধ্যমেই এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।
সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, কাজে সামান্য গোলমাল হলেও উপর মহল থেকে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করা হয় কর্মীদের সঙ্গে। রীতিমতো অপমান করা হয় বলে অভিযোগ। কাজের পরিবেশ একেবারেই নাকি সেখানে সুস্থ নয়। কমলার দফতরে কর্মরত বেশ কয়েকজন সে দেশের এক সংবাদমাধ্যমকে গোপন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যে কর্মস্থলের পরিস্থিতি বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কমলা হ্যারিস ও তাঁর চিফ অফ স্টাফ টিনা ফ্লোরনয় এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছেন, যেখানে বিচার পাওয়া কঠিন। গুরুত্বপূর্ণ কোনও সিদ্ধান্তও অনায়াসে বাতিল করে দেওয়া হয়। অভিযোগ, টিনা কোনও কঠিন পরিস্থিতি এলেই হাত ঝেড়ে ফেলেন। অন্যান্য কর্মীদের ঘাড়ে দোষ ঠেলে দেন। অনেকে কাজও ছেড়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিরল রোগ! পাথর হয়ে যাচ্ছে ৫ মাসের ফুটফুটে শিশু
যদিও এ ধরনের অভিযোগের সত্যতা মানতে নারাজ হোয়াইট হাউজ। হ্যারিসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সবরিনা সিংয়ের দাবি, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে একযোগে দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে দিনভর কাজ করে চলেছেন কমলা হ্যারিস। তাঁরা এখন জলবায়ু পরিবর্তন কিংবা কোভিড-১৯’র মতো কঠিন লড়াই নিয়েই ব্যস্ত। একই দাবি কমলা হ্যারিসের প্রবীণ উপদেষ্টা সিমন সান্ডার্সেরও। তিনি টিনারও প্রশংসা করেছেন। তাঁর দাবি, সহকর্মীদের কাছে টিনা একেবারে উন্মুক্ত দরজার মতো। সকলেই নিজের মত দিতে পারেন। সিমন নিজের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “আমার মতো কৃষ্ণাঙ্গ মহিলাকেও রাজনীতিতে কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন টিনা।”