Liz Truss: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন হাতছাড়া? ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুনাক পরাজিত হতে পারেন এই প্রার্থীর কাছে?

United Kingdom: এই সংস্থার ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হলে বরিস জনসনের চেয়ারে বসতে পারেন ট্রাস।

Liz Truss: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন হাতছাড়া? ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুনাক পরাজিত হতে পারেন এই প্রার্থীর কাছে?
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 30, 2022 | 4:55 PM

লন্ডন: ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হতে পারেন, সেই নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে জল্পনা চলছে। বেটিং এক্সচেঞ্জ ফার্ম স্মার্কেটস জানিয়েছে, ব্রিটেনের বিদেশ সচিব লিজ ট্রাস (Liz Truss) কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী (British Prime Minister) নির্বাচনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাককে (Rishi Sunak) টেক্কা দিতে পারেন। এই সংস্থার ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হলে বরিস জনসনের চেয়ারে বসতে পারেন ট্রাস। দীর্ঘ ৬ মাস ধরে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী দৌড়ে লড়াই করছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং লিজ ট্রাস। টরি পার্টির সদস্য হিসেবে মোট ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ভোটার এই দু’জনের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। স্মার্কেটস জানিয়েছে, ট্রাসের প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ এবং সুনাকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা ১০ শতাংশ।

স্মার্কেটসের পলিটিক্যাল মার্কেটের হেড ম্যাথু শ্যাডিক ব্লুমবার্গকে বলেন, ” প্রাথমিক লড়াই শেষ হওয়ার পর যখন দু’জন টিকে ছিলেন, তখন ট্রাসের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা ৬০ শতাংশ ছিল, সুনাকের ৪০ শতাংশ ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি তার অনুকুলে চলে গিয়েছে।” শ্যাডিক বলেন, “অনেকেই মনে করছেন হিসেবে ঋষি সুনাক এগিয়ে কিন্তু বিতর্ক সভায় ট্রাসের অনেক দুর্দান্ত পারফরমেন্স করেছে।” উল্লেখ্য, ঋষি সুনাক জানিয়েছিলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়া দৌড়ে ছিলেন না, কিন্তু হঠাৎ করে তিনি লড়াইতে চলে এসেছেন।

জুলাই মাসের ৭ তারিখ ‘পার্টিগেট কেলেঙ্কারি’-র জন্য বাড়তে থাকা চাপের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন বরিস জনসন। এরপরেই দলের আইন প্রণেতারা নয়া প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ১১ জন প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হওয়ার পর এই মুহূর্তে সুনাক এবং ট্রাস টিকে রয়েছেন। ৫ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হবে। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে সংবাদমাধ্যম বিবিসির টেলভিশন ডিবেটে ট্রাসের দারুণ পারফর্ম্যান্স ছিল। এমনকী ব্লুমবার্গের রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে যে টরি পার্টির ৫০৭ জন সদস্য ট্রাসের দিকে সমর্থন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।