সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টার বেশি কাজ করা মানে দ্রুত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাওয়া, সতর্কবাণী হু-র

১৯৪ দেশের মানুষের ওপর হওয়া এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টার বেশি কাজ করলে স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায় ৩৫ শতাংশ, অন্যান্য জটিল হৃদ সমস্যার সম্ভাবনা বেড়ে যায় ১৭ শতাংশ।

সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টার বেশি কাজ করা মানে দ্রুত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাওয়া, সতর্কবাণী হু-র
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: May 17, 2021 | 12:48 PM

জেনেভা: করোনা (COVID 19) অতিমারিতে প্রবণতা বেড়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের। স্বাভাবিক ভাবেই বাড়িতে থাকায় অনেকেই বাড়তি কাজ করছেন। কিন্তু সেখানেই সাবধান করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হু-র গবেষণা বলছে অধিক কাজ করা মানে দ্রুত মৃত্যু দিকে এগিয়ে যাওয়া। একেবারে গ্লোবাল স্টাডির পরিসংখ্যান দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, স্রেফ ২০১৬ সালে ৭ লক্ষ ৪৫ হাজার মানুষের স্ট্রোক কিংবা হৃদ-রোগের মৃত্যুর সঙ্গে অধিক কাজ করার সম্পর্ক ছিল।

এই ধরনের মৃত্যুর প্রবণতা ২০০০ সাল থেকে ৩০ শতাংশ বেড়েছে বলেও দাবি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিবেশ, আবহওয়া ও স্বাস্থ্য বিভাগের ডিরেক্টর মারিয়া নেইরা বলেন, “সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করা মানে এটি একটি মারাত্মক স্বাস্থ্য বিপদ।” এই তথ্যের মাধ্যমে কর্মজীবীদের আরও সচেতন হতে হবে বলে দাবি তাঁর।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক অরগানাইজেশনের যৌথ সমীক্ষার দাবি, অধিক কাজ করার ফলে ৭২ শতাংশ মধ্যবয়স্ক ও বয়স্ক ব্যক্তিরা হৃদরোগের শিকার হন। এমনকি এই কারণে তাঁদের মৃত্যু কয়েক দশক পরেও হতে পারে। গবেষণার দাবি, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মানুষরাই অধিক কাজ করার দরুন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন।

১৯৪ দেশের মানুষের ওপর হওয়া এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টার বেশি কাজ করলে স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায় ৩৫ শতাংশ, অন্যান্য জটিল হৃদ সমস্যার সম্ভাবনা বেড়ে যায় ১৭ শতাংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সপ্তাহে ৩৫-৪০ ঘণ্টা কাজ করা স্বাস্থ্যকর। ২০০০ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত হওয়া এই গবেষণায় মহামারী পর্ব যোগ হয়নি। তবে গবেষকদের দাবি, এই পর্বে এক অংশের কাজ করার প্রবণতা বেড়েছে, ফলস্বরূপ বেড়েছে ঝুঁকিও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনা পরিস্থিতিতে অত্যন্ত ৯ শতাংশ মানুষ অধিক কাজ করছেন

আরও পড়ুন: ‘গাজ়ায় হামলা চলবে, তবে হামাসের মতো নয়…’, কড়া বার্তা ইজরায়েলের