Germany Mass Shooting: চার্চে প্রার্থনা চলাকালীন হামলা, এলোপাথাড়ি গুলিতে ঝাঁঝরা ৭টি প্রাণ, রক্তে ভাসল জার্মানি
Gunman Attack: গুলি চালানোর ঘটনার সময়ে আশেপাশেই উপস্থিত ছিল স্পেশাল ইউনিটের কয়েকজন পুলিশকর্মী। তাঁরা অ্য়ালস্টেরডর্ফে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে যাচ্ছিলেন, গুলি চালানোর ঘটনার খবর পেয়েই তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
হ্য়ামবুর্গ: বন্দুকবাজের হামলায় রক্তাক্ত জার্মানি(Germany)। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উত্তর জার্মানির হ্য়ামবুর্গ (Hamburg) শহরে হামলা হয়। সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি (Mass Shooting) চালানো হয়। গুলিতে কমপক্ষে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন বহু মানুষ। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ ও ইমার্জেন্সি সার্ভিস। চলছে আহতদের উদ্ধারকাজ। কী কারণে এই গুলি চালনার ঘটনা ঘটল, তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশের তরফে প্রাথমিক তদন্তের পর জানানো হয়েছে, সম্ভাব্য আততায়ীরও মৃত্যু হয়েছে।
হ্যামবুর্গ পুলিশের তরফে বৃহস্পতিবারই টুইট করে জানানো হয়, গ্রসবরস্টেল জেলায় পুলিশ বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে। পরে জানা যায়, ওই এলাকাতেই হামলা চালিয়েছে এক বন্দুকবাজ। প্রাথমিক সূত্রে জানা গিয়েছে, হ্য়ামবুর্গ শহরের গ্রসবরস্টেল জেলার ডিলবোগেস্ট্রাসে চার্চে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। এলোপাথাড়ি গুলিতে কমপক্ষে সাতজনের মৃত্যু হয়। বহু মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন, এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা সঙ্কটজনক।
In #Hamburg #Germany #Alsterdorf district at least six people died after a shooting at a Jehovah’s Witnesses center. Local sources can be found at around the 9:00 p.m. time allowed. After that a large police operation began in the area which was carried out by the Hamburg police. pic.twitter.com/8AL5EUzNuR
— محمد سعيد (@LordCat1980) March 9, 2023
জার্মানির স্থানীয় একটি সংবাদপত্র জানানো হয়েছে, বন্দুকবাজের হামলায় কমপক্ষে ৭জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক। স্থানীয় সময়ে রাত ৯টা নাগাদ এই হামলাটি চলে। হামলার পর বন্দুকবাজ নিজেও আত্মহত্যা করেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
গুলি চালানোর ঘটনার সময়ে আশেপাশেই উপস্থিত ছিল স্পেশাল ইউনিটের কয়েকজন পুলিশকর্মী। তাঁরা অ্য়ালস্টেরডর্ফে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে যাচ্ছিলেন, গুলি চালানোর ঘটনার খবর পেয়েই তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। চার্চের ওই বিল্ডিংয়ে ঢুকে তাঁরা ভিতরে আটকে থাকা সাধারণ মানুষকে সুরক্ষিতভাবে বের করে আনেন।
পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, হামলার খবর পাওয়ার পরই ওই এলাকার একাধিক রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং মেসেজ করে সাধারণ মানুষদেরও সতর্ক করে এই এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও বাড়ির ভিতরেই থাকতে এবং অত্য়ন্ত প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ফোন ব্য়বহার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বন্দুকবাজের হামলার পিছনে কী উদ্দেশ্য ছিল, সে সম্পর্কে এখনও কোনও তথ্য় জানা যায়নি। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। বিস্তারিত তথ্য পেলেই এই বিষয়ে জানানো সম্ভব হবে।