Nepal Plane Crash: নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত ৪ ভারতীয়-সহ ২২ জনেরই দেহ উদ্ধার, পাওয়া গেল ব্ল্যাকবক্স
Rescue Work: নেপাল সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নারয়ণ সিলওয়াল মঙ্গলবার সকালে জানিয়েছেন, "যে একজন যাত্রী নিখোঁজ ছিল, তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।"
কাঠমাণ্ডু : ২ দিন আগেই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল নেপালের যাত্রীবাহী বিমান (Nepal Plane Crash)। ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখে পড়ে বিমানযাত্রী ২২ জনেরই মৃত্যু হয়েছিল। মৃত ২২ জনের মধ্যে ৪ জন ভারতীয়। মঙ্গলবার সকালে দুর্ঘটনার মুখে পড়া বিমানটির ব্ল্যাকবক্সের হদিশ পেয়েছেন নেপাল সেনাবাহিনীর (Nepal Army) উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। উদ্ধারকারী দল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমান দুর্ঘটনার নিহত যে একজন যাত্রীর মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না, শেষমেশ তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। রবিবার সকালে দ্য তারা এয়ার প্লেন সংস্থার বিমানটি পোখরা (Pokhra) থেকে উড়ে যাওয়ার পরই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। তারপরই বিমানের ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। সোমবার নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে বিমানের কোনও যাত্রীরই বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই।
নেপাল সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নারয়ণ সিলওয়াল মঙ্গলবার সকালে জানিয়েছেন, “যে একজন যাত্রী নিখোঁজ ছিল, তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে ১২ টি মৃতদেহ কাঠমাণ্ডুতে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং যাবতীয় বন্দোবস্ত করা হয়েছে।” টার্বোপ্রপ টুইন অটার ৯এন এইটি প্লেনটি নেপালের পার্বত্য এলাকায় নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। কানাডাতে তৈরি হওয়া এই বিমানটি জনপ্রিয় ভ্রমণকেন্দ্র পোখারা থেকে জমসমের দিকে রওনা দিয়েছিল। বিমানে ৪ জন ভারতীয়, ২ জন জার্মান এবং ১৩ জন নেপালি যাত্রী ছিলেন। পাশাপাশি বিমানে ৩ জন বিমানকর্মীও ছিলেন।
মুস্তাং জেলার কোয়াং গ্রামের কাছে থাসাং-২ -র সানোস্বারেতে বিমানটি ভেঙে টুকরো টুকরো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। বিমান ভেঙে পড়ার পর থেকে উদ্ধারকাজ শুরু হলেও খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়েছিল। বিমানটিকে জমসমের মুস্তাংয়ের কাছেই শেষবার দেখা গিয়েছিল। ধৌলাগিরি পর্বতের দিকে বাঁক নিতেই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল, এমনকী এটিসির সঙ্গেও বিমানের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল।