North Korea COVID-19 Case: আড়াই বছর পর ভাঙল প্রতিরোধ, কিমের দেশেও ঢুকে পড়ল করোনা! সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ‘চরম’ সিদ্ধান্ত
North Korea COVID-19 Case: ২০১৯ সালে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই উত্তর কোরিয়ায় সীমান্তে কড়াকড়ি জারি করা হয়েছিল। বর্তমানেও সেই কঠোর নিয়ম জারি করা হয়েছে।
প্যাংগং: ২০১৯ সালের শেষভাগে প্রথম দেখা মিলেছিল করোনা ভাইরাসের(COVID-19)। বিগত দুই বছরে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনা সংক্রমণ। এতদিন সংক্রমণের ছোঁয়াচ থেকে বাঁচলেও শেষরক্ষা হল না আর। উত্তর কোরিয়া(North Korea)-তেও খোঁজ মিলল প্রথম করোনা আক্রান্তের। আর করোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলার সঙ্গে সঙ্গেই দেশে ঘোষণা করা হল ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’র ( Severe National Emergency)। বৃহস্পতিবারই উত্তর কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায় যে সে দেশে প্রথম করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। দেশের প্রধান নেতা কিম জং উন দ্রুত এই সংক্রমণকে গোড়া থেকে নিকেশ করার শপথ নিয়েছেন বলেও জানানো হয়।
২০১৯ সালে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই উত্তর কোরিয়ায় সীমান্তে কড়াকড়ি জারি করা হয়েছিল। বর্তমানেও সেই কঠোর নিয়ম জারি করা হয়েছে। তবে সেই কড়া নিরাপত্তাকে ফাঁকি দিয়েই দেশের অন্দরে ঢুকে পড়ল করোনা। উত্তর কোরিয়ার সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির তরফে জানানো হয়েছে, জ্বরের রোগীদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, আক্রান্তরা ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হয়েছেন।
করোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলার পরই কিম জং উন সহ শীর্ষ নেতারা বিপর্যয় মোকাবিলায় জরুরি বৈঠকে বসেন। এরপরই দেশে জরুরি অবস্থার ঘোষণা করা হয়। সংক্রমণ রুখতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। কিম জং উন বৈছকে জানিয়েছেন, সবথেকে কম সময়ের মধ্যে কীভাবে ভাইরাসকে গোড়া থেকে নির্মূল করা যায়, তার পদ্ধতি খুঁজে বের করার কথা বলা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইনের জন্য় বিশেষ প্রকল্প শুরু করা হবে। সীমান্তগুলিতে কড়া নিয়ন্ত্রণ ও লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে। সাধারণ নাগরিক যেন যাবতীয় নির্দেশিকা অনুসরণ করেন, তার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ায় জনগণের সংখ্যা ২.৫ কোটি হলেও, সেখানে এখনও অবধি কেউই করোনা টিকা পাননি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, চিন ও রাশিয়ার তরফে উত্তর কোরিয়ায় করোনা টিকা সরবরাহের প্রস্তাব দেওয়া হলেও, কিম সরকার সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে।