Pakistan Tea: চা খেতে গিয়েও ভাবতে হচ্ছে দশবার! কোন বিকল্প পানীয় খুঁজে বের করল পাকিস্তান?

Pakistan: পাকিস্তানের উচ্চ শিক্ষা কমিশনের থেকে বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে শুধু যে কর্মসংস্থান বাড়বে, তাই নয়... এর পাশাপাশি পাকিস্তানের আর্থিক সঙ্কটের পরিস্থিতির মধ্যেও আমজনতার আয়ের পথ খুলবে।

Pakistan Tea: চা খেতে গিয়েও ভাবতে হচ্ছে দশবার! কোন বিকল্প পানীয় খুঁজে বের করল পাকিস্তান?
পাকিস্তানে চা 'সঙ্কট'
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 25, 2022 | 2:16 PM

ইসলামাবাদ : অর্থনীতির বেহাল দশা। চা খেতে গিয়েও দশবার ভাবতে হচ্ছে ইসলামাবাদকে। তাই চা আমদানি করার খরচ কমাতে সবরকমভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। সে দেশের উচ্চ শিক্ষা কমিশন চায়ের খরচ কমাতে যা ব্যবস্থা নিল, তা কল্পনাও করতে পারবেন না আপনি। কমিশনের থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের বলা হয়েছে স্থানীয় বিভিন্ন পানীয়র উপর জোর দেওয়ার জন্য, যেমন লস্যি, গমের ছাতু। পাকিস্তানের উচ্চ শিক্ষা কমিশনের থেকে আরও বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে শুধু যে কর্মসংস্থান বাড়বে, তাই নয়… এর পাশাপাশি পাকিস্তানের আর্থিক সঙ্কটের পরিস্থিতির মধ্যেও আমজনতার আয়ের পথ খুলবে।

পাকিস্তানের উচ্চ শিক্ষা কমিশনের কার্যকরী চেয়ারম্যান আরও জানিয়েছেন, কীভাবে সে দেশের আর্থিক সঙ্কটের পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের মানুষদের উপর থেকে চাপ কিছুটা কমানো যায়, তার জন্য কিছু নতুন পন্থা বের করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাদের উপর। তার মধ্যে একটি পন্থা যা উচ্চ শিক্ষা কমিশন থেকে জানানো হয়েছে, তা হল স্থানীয় স্তরে চা গাছ লাগানো। সেই সঙ্গে লস্যি বা ছাতুর মতো স্থানীয় পানীয়গুলির উপর বেশি জোর দেওয়া। এই ধরনের পানীয়গুলির চাহিদা বাড়লে, সে ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান এবং রোজগারও বাড়বে নিম্ন আয়ের মানুষদের।

উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই পাকিস্তানের প্ল্যানিং মন্ত্রী সে দেশের নাগরিকদের পরামর্শ দিয়েছিলেন চা খাওয়া কমানোর জন্য। কারণ, দেশকে চা আমদানি করার জন্য টাকা ধার নিতে হচ্ছে। মন্ত্রীর সেই ভিডিয়ো বার্তায় শোনা গিয়েছিল, “আমি দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করছি ১-২ কাপ করে চাপ খাওয়া কমিয়ে দিন। কারণ, আমাদের ধার করে চা আমদানি করতে হচ্ছে।”

সাম্প্রতিক অতীতে সবথেকে খারাপ আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। ধস নেমেছে পাকিস্তানের শেয়ার বাজারেও। শুক্রবার সূচক প্রায় ২০০০ পয়েন্টেরও বেশি পতন হয়। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শহবাজ শরিফ জানিয়েছেন, বড় শিল্পগুলির উপর নতুন করে ১০ শতাংশ কর চাপানো হবে, তারপরই এই পতন।