British PM Election: সোমবারের মধ্যে বরিসের চাই ১০০ ভোট, নাহলেই পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক

British PM Election: ঋষি সুনাকের সামনে অঙ্কটা খুব সহজ। সোমবারের মধ্যে বরিস জনসন বা পেনি মর্ডান্ট ১০০ জন সাংসদের সমর্থন জোগার করতে না পারলেই প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার সুনাকের।

British PM Election: সোমবারের মধ্যে বরিসের চাই ১০০ ভোট, নাহলেই পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক
ঋষি সুনাক এবং বরিস জনসন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 23, 2022 | 11:58 PM

লন্ডন: ব্রিটেনের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাকের সেই দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়াটা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করা হচ্ছে। তাঁর সামনে অঙ্কটা খুব সহজ। ইতিমধ্যেই তাঁর পক্ষে ১৪২ জন সাংসদের সমর্থন রয়েছে। যদি সোমবারের মধ্যে তাঁর প্রতিপক্ষ বরিস জনসন এবং পেনি মর্ডান্ট প্রত্যেকে ১০০ জন করে সাংসদের সমর্থন জোগার করতে না পারেন, তাহলেই সুনাককে পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হবে।

গত জুলাই মাসেই প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন বরিস জনসন। বর্তমানে তাঁর পক্ষে ৫৯ জন সাংসদের সমর্থন রয়েছে। অন্যদিকে, এই দৌড়ের তৃতীয় প্রতিদ্বন্দ্বী পেনি মর্ডান্টের ঝুলিয়ে আছে আরও কম সমর্থন, মাত্র ২৯। জনসন এবং মর্ডান্ট যদি সোমবারের মধ্যে ১০০ জন করে সাংসদের সমর্থন আদায় করতে ব্যর্থ হন, তবে ঋষি সুনাক স্বয়ংক্রিয়ভাবেই প্রধানমন্ত্রী হয়ে যাবেন। কারণ, কনজ়ারভেটিভ পার্টির পক্ষ থেকে ঘোষিত নিয়মে বলা হয়েছে, ব্যালট পেপারে নাম তুলতে গেলে অন্তত ১০০ জন সাংসদের সমর্থন চাই।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে কনজ়ারভেটিভদের মোট ৩৫৭ জন সাংসদ আছেন। কাজেই সর্বাধিক তিনজনই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে থাকতে পারবেন। শেষ পর্যন্ত যদি ত্রিমুখী সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে সাংসদরা সোমবারই একটি ইঙ্গিতমূলক ব্যালটের মাধ্যমে চূড়ান্ত দুই প্রার্থী বাছাই করবেন। আর আগামী শুক্রবারের মধ্যে কনজ়ারভেটিভ দলের প্রায় ১,৭০,০০০ সদস্য অনলাইন ভোটের মাধ্যমে দলের নতুন নেতা ঠিক করবেন।

প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বরিস জনসনের পতনের পিছনে ঋষি সুনাকের ভূমিকাই সবথেকে বড়ছিল। তারপর থেকেই দুই নেতার মধ্যে তীব্র তিক্ততার সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। তা সত্ত্বেও দুজনে মিটমাট করে নেওয়ার লক্ষ্যে শনিবার রাতে এক বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। কিন্তু আপাত দৃষ্টিতে সেই বৈঠকে কোনও রফাসূত্র মেলেনি। কারণ রবিবারই, ঋষি সুনাক আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর লক্ষ্য দেশের অর্থনীতিকে সঠিক পথে আনা। দলকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং দেশের মানুষের জন্য পরিষেবা দেওয়া। কোথাও জনসনের নাম পর্যন্ত করেননি তিনি।