Sri Lanka: চিনা জাহাজের মতলব নিয়ে সন্দেহ, এখন হামবানটোটায় না আসার অনুরোধ শ্রীলঙ্কার

Hambantota: চিনা দূতাবাসকে পাঠানো ওই চিঠিতে শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, "মন্ত্রকের থেকে অনুরোধ করা হচ্ছে, এই বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত হামবানটোটা বন্দরে উয়ান ওয়াং ৫ জাহাজটির আসার তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হোক।"

Sri Lanka: চিনা জাহাজের মতলব নিয়ে সন্দেহ, এখন হামবানটোটায় না আসার অনুরোধ শ্রীলঙ্কার
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 07, 2022 | 6:17 PM

কলম্বো: কিছুদিন আগেই ভারতের তরফে চিনা জাহাজ উয়ান ওয়াং ৫ নিয়ে আপত্তি জানানো হয়েছিল। আগামী ১১ অগস্ট শ্রীলঙ্কার হামবানটোটা বন্দরে আসছে জাহাজটি। ১৭ অগস্ট পর্যন্ত সেখানে থাকার কথা জাহাজটি। এবার শ্রীলঙ্কার থেকেও ওই চিনা জাহাজ নিয়ে আপত্তি জানানো হল। উয়ান ইয়াং ৫ জাহাজটি যাতে অন্য সময়ে আসে, সেই বার্তা দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। সন্দেহ করা হচ্ছে, ওই জাহাজটির দ্বৈত ভূমিকা রয়েছে। অর্থাৎ, গুপ্তচরবৃত্তির জন্যও জাহাজটি ব্যবহার করা হতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে বিভিন্ন কূটনৈতিক মহলে। এই সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে চিনা দূতাবাসের কাছে একটি চিঠিও পাঠিয়েছে শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রক।

চিনা দূতাবাসকে পাঠানো ওই চিঠিতে শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, “মন্ত্রকের থেকে অনুরোধ করা হচ্ছে, এই বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত হামবানটোটা বন্দরে উয়ান ওয়াং ৫ জাহাজটির আসার তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হোক।” প্রসঙ্গত, এই জাহাজ হামবানটোটা বন্দরে আসা নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল ভারত। কারণ, চিনের তরফে এটিকে একটি গবেষণা জাহাজ হিসাবে দেখানো হয়েছিল। কিন্তু এই জাহাজটি সমুদ্রের তলায় কোথায় কী রয়েছে, সেই ম্যাপিং তৈরি করতে পারে।

ভারতের বিদেশমন্ত্রক এর আগে বলেছিল, “ভারতের নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক স্বার্থের উপর প্রভাব ফেলছে এমন যে কোনও ঘটনার উপর দেশের সরকার সতর্কতার সঙ্গে নজর রাখে। দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ভারত।” উল্লেখ্য, সরবরাহ এবং জ্বালানি সরবরাহের জন্য এই চিনা জাহাজটি এমন এক সময়ে শ্রীলঙ্কায় আসছে, যখন দ্বীপরাষ্ট্রটি সবথেকে খারাপ অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে নয়া দিল্লি সবসময় কলম্বোর পাশে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু শ্রীলঙ্কায় চিনের সাহায্য কখনোই নিয়মিত ও ধারাবাহিক ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে চিনা দূতাবাসকে পাঠানো কলম্বোর এই চিঠি স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।