Sri Lanka Crisis: ‘অপেক্ষা’য় জ্বালানি বোঝাই জাহাজ, এদিকে সরকারের নির্দেশ ‘জ্বালানি কেনা যাবে না’! অদ্ভুত ‘জ্বালা’ লঙ্কায়
Sri Lanka Crisis: খাদ্য থেকে শুরু করে জ্বালানি, রান্নার গ্য়াস-সবকিছুরই সঙ্কট দেখা গিয়েছে। মিলছে না অত্য়াবশ্যকীয় ওষুধও। সমস্ত পণ্যেরই দাম কমপক্ষে ৩০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
কলম্বো: এ এক অদ্ভুত সঙ্কট! সমুদ্রেই অপেক্ষা করছে জ্বালানি বোঝাই জাহাজ, অথচ সাধারণ মানুষ এক লিটার গ্যাসোলিন কিনতেও সারাদিন ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। হাতের সামনেই জ্বালানি থাকলেও, তা কিনতে পারছে না শ্রীলঙ্কা(Sri Lanka)। কারণ তাদের কাছে ওই জ্বালানির দাম মেটানোর মতো টাকাও নেই। বুধবারই সরকারের তরফে দেশবাসীদের নির্দেশ দেওয়া হয়, তারা যেন আর জ্বালানি কেনার জন্য লাইন না দেন। কারণ সরকারের পক্ষে জ্বালানি কেনার জন্য পর্যাপ্ত ডলার নেই।
বুধবারই শ্রীলঙ্কার সংসদে শক্তি মন্ত্রী কাঞ্চনা উইজশেকেরা বলেন, “আমাদের জলসীমাতেই পেট্রোল নিয়ে একটি জাহাজ দাঁড়িয়ে রয়েছে। তবে জ্বালানি কেনার জন্য আমাদের কাছে বিদেশি মুদ্রা নেই। আজ বা আগামিকালের মধ্যেই ওই জাহাজ ছেড়ে দেওয়া হবে”। বকেয়া অর্থ প্রসঙ্গেও তিনি বলেন, “বেশ কিছু সরবরাহকারীর কাছে প্রায় ৫.৩ কোটি ডলার অর্থ বকেয়া রয়েছে। এর আগে তারা যে গ্যাসোলিন সরবরাহ করেছিলেন, তার বিনিময়েই এই অর্থ দেওয়া বাকি রয়েছে। সরকারের কাছে বর্তমানে বিদেশি মুদ্রা না থাকায়, অর্থ মেটানো সম্ভব হচ্ছে না।”
করোনাকালে দেশের পর্যটন শিল্প মুখ থুবড়ে পড়ায় ও বিদেশি ঋণের চাপে চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। স্বাধীনতার পর এটাই সবথেকে বড় আর্থিক সঙ্কট। খাদ্য থেকে শুরু করে জ্বালানি, রান্নার গ্য়াস-সবকিছুরই সঙ্কট দেখা গিয়েছে। মিলছে না অত্য়াবশ্যকীয় ওষুধও। সমস্ত পণ্যেরই দাম কমপক্ষে ৩০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
আর্থিক সঙ্কটের জেরে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে দেশের সাধারণ মানুষ। প্রতিবাদ বিক্ষোভে তারা রাস্তায় নেমেছেন। জনতার রোষের মুখে পড়েই সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মাহিন্দা রাজাপক্ষ। তাঁর পরিবর্তে ক্ষমতায় এসেছেন শ্রীলঙ্কার পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংঘে।
গদিতে বসার এক সপ্তাহের মধ্যে তিনিও চরম সঙ্কটের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। সোমবারই তিনি জানান, দেশে বর্তমানে মাত্র এক দিনের গ্যাসোলিন মজুত রয়েছে। সরকার ডলার সংগ্রহের চেষ্টা করছে যাতে জ্বালানি কেনা যায়। তিনিও জানান যে, ক্রুড তেল ও ফার্নেস তেল বোঝাই তিনটি জাহাজ শ্রীলঙ্কার জলে অপেক্ষা করছে। জ্বালানি কেনার জন্য বিশ্ব ব্যাঙ্কের সাহায্য নেওয়ার কথাও জানান তিনি।