Gotabaya Rajapaksa: রাজার হাল আর নেই রাজাপক্ষের, জমে থাকা মামলায় এবার কি শ্রীঘরে ঠাঁই হবে?

Gotabaya Rajapaksa: শুক্রবারই তাইল্যান্ড থেকে শ্রীলঙ্কা ফিরে আসেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। ৫২ দিন দেশের বাইরে থাকার পর তিনি দেশে ফিরে আসেন। কিন্তু যেভাবে রাজার হালে প্রাইভেট বিমানের করে তিনি দেশে ফিরেছিলেন, ফেরার সময়ে সেই রাজকীয় ছাপ ছিল না।

Gotabaya Rajapaksa: রাজার হাল আর নেই রাজাপক্ষের, জমে থাকা মামলায় এবার কি শ্রীঘরে ঠাঁই হবে?
গোতাবায়া রাজাপক্ষে। ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 03, 2022 | 9:08 AM

কলম্বো: দেশের মাটিতে সবে পা রেখেছেন। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে ঘিরে শুরু হল বিতর্ক। শুক্রবার শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে দেশে ফিরতেই, সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধী দলের নেতারা। শ্রীলঙ্কার আর্থিক দুরাবস্থার জন্য দায়ী রাজাপক্ষে পরিবারকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে, এমনটাও অভিযোগ তাদের। তবে বিরোধী রাজনৈতিক দলের একাংশ গোতাবায়া ফিরে আসায় খুশি। তাঁরা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন গ্রেফতারি এড়ালেও, এবার গোতাবায়ার বিরুদ্ধে জমে থাকা মামলাগুলির তদন্ত শুরু করা হবে এবং তিনি যাতে যথাযথ শাস্তি পান, তার ব্যবস্থাও করা হবে।

শুক্রবারই তাইল্যান্ড থেকে শ্রীলঙ্কা ফিরে আসেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। ৫২ দিন দেশের বাইরে থাকার পর তিনি দেশে ফিরে আসেন। কিন্তু যেভাবে রাজার হালে প্রাইভেট বিমানের করে তিনি দেশে ফিরেছিলেন, ফেরার সময়ে সেই রাজকীয় ছাপ ছিল না। সাধারণ বাণিজ্যিক বিমানেই তিনি কলম্বোয় আসেন। তবে দেশের মাটিতে পা রাখার পর তিনি সাদর অভ্যর্থনাই পেয়েছেন। একাধিক নেতা-মন্ত্রী তাঁকে স্বাগত জানাতে আসেন। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হিসাবে গোতাবায়ার জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বর্তমানে সরকারের দেওয়া বাড়ি-গাড়িই ব্যবহার করবেন গোতাবায়া।

এদিকে, সাত সপ্তাহ পর রাজাপক্ষে দেশে ফিরতেই বিরোধীরা সমালোচনা শুরু করেছেন। তাদের অভিযোগ, দেশের আর্থিক দুরাবস্থার জন্য দায়ী রাজাপক্ষে পরিবারের ভুল সিদ্ধান্ত। তিনি দেশের অর্থনীতির হাল না বুঝেই ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত ও আর্থিক অনুদানের ঘোষণা করার কারণেই দেনার দায়ে ডুবে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এরপরে দেশবাসীকে বিপদে মুখে ফেলে রেখে পালিয়ে যান গোতাবায়া। পাশাপাশি, গোতাবায়ার দেশে ফেরা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘেই গোতাবায়াকে দেশে ফিরে আসতে সাহায্য করেছেন বলে অভিযোগ। একদা ক্ষমতাসীন রাজাপক্ষে পরিবারকে আইনি ঝামেলা থেকে রক্ষা করছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট, এমনটাও অভিযোগ। সেই কারণেই নাকি গোতাবায়া দেশ ছাড়ার পর রনিল বিক্রমসঙ্ঘেকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দিয়েছিলেন।

গোতাবায়া রাজাপক্ষে ইস্তফা দেওয়ার পরই তিনি প্রেসিডেন্টশিয়াল ইমিউনিটি খুইয়েছেন। এতদিন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও মামলার তদন্ত বা গ্রেফতারি সম্ভব ছিল না। কিন্তু তিনি দেশে ফিরে আসতেই একাধিক মামলার তদন্ত শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন বিরোধী নেতারা। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিখ্যাত সংবাদপত্রের সম্পাদক লাসান্থা বিক্রমাতুঙ্গের খুনের ঘটনায় গোতাবায়ারও সক্রিয় ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ। ক্যালিফোর্নিয়াতেও এই মামলায় এবং তামিল বন্দিদের উপরে অত্যাচারের মামলা চলছে।