Sri Lanka Crisis: ইস্তফা দিতে পারেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষে, প্রধানমন্ত্রী বাড়িতে আগুন লাগালো বিক্ষোভকারীরা

President: শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে ইস্তফা দিতে পারেন বলে খবর। আগামী ১৩ জুলাই বুধবার তিনি প্রেসিডেন্টের পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।

Sri Lanka Crisis: ইস্তফা দিতে পারেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষে, প্রধানমন্ত্রী বাড়িতে আগুন লাগালো বিক্ষোভকারীরা
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষে। প্রধানমন্ত্রীর বিক্রমসিঙ্ঘের বাড়িতে আগুন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 09, 2022 | 11:35 PM

কলম্বো: প্রধানমন্ত্রীর পর প্রেসিডেন্ট। শ্রীলঙ্কায় ইস্তফার ধারা অব্যাহত। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে ইস্তফা দিতে পারেন বলে খবর। আগামী ১৩ জুলাই বুধবার তিনি প্রেসিডেন্টের পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। শনিবার দুপুরেই ইস্তফা দেওয়ার কথা টুইট করে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। তার পরই তাঁর ব্যক্তিগত বাড়ির সামনে জড়ো হয় বিক্ষোভকারীরা। সেই উত্তেজিত জনতা বিক্রমসিঙ্ঘের বাড়িতে আগুন লাগিয়েছে বলে জানা গিয়েছে সংবাদ সংস্থা সূত্রে। প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভকারীদের আটকানোর চেষ্টা করেন নিরাপত্তরক্ষীরা। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। উল্টে বিক্রমসিঙ্ঘের বাড়ির সামনে সাংবাদিকদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে নিরাপত্তা রক্ষীদের বিরুদ্ধে।

অর্থনৈতিক সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছে শ্রীলঙ্কায়। কয়েক মাস ধরেই সে অচলাবস্থা অব্যাহত রয়েছে। তা নিয়ে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভও জারি রয়েছে। শনিবার সেই বিক্ষোভ হিংসাত্মক রূপ নিয়েছে। শনিবার সকাল থেকেই শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষের বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছিল বিক্ষোভকারীদের বিশাল একটি দল। নিরাপত্তা রক্ষীরা বাধা দিয়েও উত্তেজিত জনতাকে আটকাতে ব্য়র্থ হয়। বিক্ষোভকারীরা ঢুকে যায় প্রেসিডেন্টের বাসভবনে। বাসভবনের দখল চলে যায় জনতার হাতে। তার পর সেখানে দাপিয়ে বেড়াতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। ততক্ষণে অবশ্য রাজাপক্ষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। শনিবার রাতে জানা গেল, আগামী ১৩ জুলাই ইস্তফা দিতে পারেন তিনি।

অন্য দিকে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে শনিবার বিকালে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতেই সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। সেই বৈঠকের পরই ইস্তফা দেওয়ার কথা জানান তিনি। সর্বদলের সরকার গড়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফার কথা ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজিত জনতা তাঁর বাড়ির ঘিরে ফেলতে শুরু করেন। সেখানে ঢোকা নিয়ে নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ হয় বিক্ষোভকারীদের। ছোড়া হয় কাদানে গ্যাসও। সে সময়ই সাংবাদিকদের হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে নিরাপত্তা রক্ষীদের বিরুদ্ধে।

সেই হেনস্থার নিন্দা করেছেন শ্রীলঙ্কার বিরোধী দলনেতা সাজিত প্রেমদাস। প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘেও সেই হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।