Vladimir Putin: কয়েক সেকেন্ড দাঁড়িয়ে থেকেই পা কাঁপছে পুতিনের! কার জন্য অপেক্ষা করছেন রুশ প্রেসিডেন্ট?
Russia-Ukraine Conflict: ২০২০ সালে মস্কোতে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে সাক্ষাৎ হয়েছিল। তারপর তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ন্যাটোর সদস্য দেশগুলির সম্পর্কে টানাপোড়েনের কারণে বেশ কিছুটা সময় পর দুই রাষ্ট্রনেতা মুখোমুখি হয়েছেন।
তেহরান: ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গোটা বিশ্বে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। বেশ কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পুতিনের অসুস্থতার খবর প্রকাশিত হয়েছিল। তুরস্কের রাজধানী তেহরানে রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছিল দোর্দণ্ডপ্রতাপ রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে। এরদোগানের ঘরে প্রবেশের কয়েক সেকেন্ড পরই পুতিনে পা কাঁপতে দেখা গিয়েছিল। গত মঙ্গলবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্টের জন্য অপেক্ষা করার সময় রুশ প্রেসিডেন্টের মুখে অস্বস্তি ফুটে উঠেছিল যা তাঁর শারীরিক অসুস্থতার তত্ত্বকে আরও বেশি জোরাল করছে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। পুতিনের স্বাস্থ্য নিয়ে কয়েকদিন ধরেই যে গুঞ্জন চলছিল, এই ছবি প্রকাশ্যে আসার পর অনেকেই মনে করেছেন, যে রুশ প্রেসিডেন্টের শারীরিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে।
অনেকেই রুশ প্রেসিডেন্টকে অহংকারী বলে মনে করেন। তাদের ধারণা পুতিন মাথা নোয়াতে পছন্দ করেন না। সাধারণত কোনও বৈঠক বআ সম্মলনে পশ্চিমী দেশের নেতাদের পুতিনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। তবে তুরস্কে গিয়ে তার সম্পূর্ণ উলটপুরাণ। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাঁকে মিনিট খানেক অপেক্ষা করানোয় পুতিনকে কটাক্ষ করছেন অনেকে। তাদের মতে পুতিনের ‘দর্প’ চূর্ণ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। তবে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে পুতিনের জন্য নির্দিষ্ট আসতে তাঁকে বসার অনুরোধ করেন।
২০২০ সালে মস্কোতে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে সাক্ষাৎ হয়েছিল। তারপর তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ন্যাটোর সদস্য দেশগুলির সম্পর্কে টানাপোড়েনের কারণে বেশ কিছুটা সময় পর দুই রাষ্ট্রনেতা মুখোমুখি হয়েছেন। প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় থেকে গোটা বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই যুদ্ধের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে দায়ী করেছেন। তাদের মতে পুতিনের অহংকার ও আগ্রাসী নীতির কারণেই এই যুদ্ধ শুরু হয়েছে এবং যাঁর প্রভাব গোটা বিশ্বে পড়েছে। দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে চললেও এখনও অবধি যুদ্ধ শেষের কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। এই যুদ্ধের কারণে গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ছে। এখন কবে এই যুদ্ধ থামে, এটাই এখন দেখার।