Chowchilla kidnapping: ২৬ স্কুল পড়ুয়াকে জ্যান্ত কবর! চৌচিলা অপহরণ কাণ্ডের স্মৃতি এখনও তাড়া করে ভুক্তভোগীদের

USA: বাসচালক ছাড়া ২৬ জন পড়ুয়া ছিলেন বাসে। তাঁদের অধিকাংশেরই বয়স ছিল ৫ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে।

Chowchilla kidnapping: ২৬ স্কুল পড়ুয়াকে জ্যান্ত কবর! চৌচিলা অপহরণ কাণ্ডের স্মৃতি এখনও তাড়া করে ভুক্তভোগীদের
চৌচিলার অপহৃত স্কুল পড়ুয়ারা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 25, 2022 | 7:43 PM

ক্যালিফোর্নিয়া: ১৯৭৬ সালের জুলাই মাস। স্কুল থেকে বাসে করে ফিরছিলেন পড়ুয়ারা। বাসচালক ছাড়া ২৬ জন পড়ুয়া ছিলেন বাসে। তাঁদের অধিকাংশেরই বয়স ছিল ৫ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। মাঝপথে অপহরণ করা হয় সেই বাসকে। আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার চৌচিলার গ্রামীণ এলাকায় ঘটেছিল এই ঘটনা। সন্তানরা বাড়ি না ফেরায় কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তাঁদের অভিভাবকরা। এক সঙ্গে এত জন স্কুল ছাত্রের নিখোঁজের ঘটনা শোরগোল ফেলেছিল আমেরিকা জুড়ে। প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর ওই স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে ফিরেছিলেন বাসচালক। ঘটনার বেশ কয়েক দিন পরে অভিযুক্তদের ধরতে সমর্থ হয় পুলিশ। তিন যুবক ছিলেন স্কুলপড়ুয়াদের অপহরণে নেপথ্যে। দীর্ঘ দিন জেলে থাকার পর শীঘ্রই ওই তিন অপরাধী জেল থেকে বেরবেন বলে জানা গিয়েছে, সে দেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে। সে দিনের অপহৃত আজ সকলেই বিভিন্ন সংস্থায় কর্মরত, কেউ আবার অবসরও নিয়েছেন। সে দিনের স্মৃতি মনে পড়লে আজও আতকে ওঠেন তাঁরা।

জানা গিয়েছে, চৌচিলা অপহরণের মূল অভিযুক্তরা হল নিউহল উডস, রিচার্ড স্কোয়েনফেল্ড এবং জেমস স্কোয়েনফেল্ড। স্কুলফেরত বাসের পথ আটকে ছিলেন তারা। মুখে মুখোশ পরে হাতে বন্দুক নিয়ে তাদের মধ্যে ২ জন বাসের মধ্যে উঠেছিলেন তারা। এক জন রাস্তা আটকে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই বাস তাঁরা নিয়ে গিয়েছিলেন নদীর ধারে এক পরিত্যক্ত এলাকায়।  সেখানে সেখান থেকে একটি লরিতে তোলা হয় বাসচালক-সহ ২৬ পড়ুয়াকে। প্রিজন ভ্যানকে পরিবর্তিত করে লরি বানানো হয়েছিল সেটিকে। লরির চারপাশ কালো রঙ করা ছিল। কাঠ দিয়ে বন্ধ ছিল সব জানলা। ওই লরিতে ঢুকিয়ে দেওয়ায় বাইরের কিছু দেখতে পাচ্ছিলেন না পড়ুয়ারা। তাদের চিৎকারও বাইরে শোনা যাচ্ছিল না।

chowcilla

সেই গাড়িতে পড়ুয়াদের নিয়ে প্রায় ১০০ কিলোমিটার পথ গিয়েছিল অপরহরণকারীরা। ১১ ঘণ্টায় সেই পথ পাড়ি দিয়ে তিন অভিযুক্ত গিয়েছিল লিভারমোড়ে। সেখানেই লরিকে মাটির তলায় পুঁতে দিয়ে চলে যায় তিন অভিযুক্ত। বাসচাসলক এবং এক বয়সে বড় ছাত্র সেই মাটি সরিয়ে উদ্ধার করেন বাকিদের। মৃত্যু মুখ থেকে প্রাণ বাঁচে তাঁদের। এক ছাত্র বলেছিলেন, “আমরা মরে যাচ্ছিলাম। শ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। কোনও মতে শেষ মুহূর্তে প্রাণ বাঁচে।” সে দিন প্রায় ১৬ ঘণ্টা লরির মধ্যে মাটি চাপা ছিলেন পড়ুয়ারা। এর পর বাসচালক তাঁদের বাড়ি ফিরিয়ে এনেছিলেন।