Sweden Finland To Join NATO : পুতিনের রক্তচাপ বাড়িয়ে ন্যাটোমুখী সুইডেন-ফিনল্যান্ড, রাশিয়ার দুই পড়শির পদক্ষেপে কী হবে ইউরোপের?

Sweden Finland To Join NATO : সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ন্যাটো সামরিক জোটে যোগদানের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন জমা হয়েছে। তবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এই আবেদন জমার আগেই ন্যাটোর সম্প্রসারণের বিরোধিতা করেছে।

Sweden Finland To Join NATO : পুতিনের রক্তচাপ বাড়িয়ে ন্যাটোমুখী সুইডেন-ফিনল্যান্ড, রাশিয়ার দুই পড়শির পদক্ষেপে কী হবে ইউরোপের?
ছবি সৌজন্যে : PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 18, 2022 | 11:23 PM

ব্রাসেলস : আমেরিকার নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সামরিক জোটে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল ইউক্রেন। ইউক্রেনীয়দের সেই ইচ্ছা হজম হয়নি ভ্লাদিমির পুতিনের। এর জেরেই পড়শি দেশে হামলা চালায় রাশিয়া। সেই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষ হওয়ার এখনও কোনও চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না। এরই মাঝে এবার ক্রেমলিনের রক্তচাপ বাড়িয়ে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিক ভাবে আবেদন পত্র জমা দিল ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। রাশিয়ার আগ্রাসী মনোভাবের জেরেই সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন ন্যাটোর জেনারেল সেক্রেটারি জেনস স্টোল্টেনবার্গ।

এদিন ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের থেকে আনুষ্ঠানিক আবেদন পত্র হাতে পেয়ে স্টোল্টেনবার্গ বলেন, ‘ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানের অনুরোধকে আমি আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। আপনারা আমাদের ঘনিষ্ঠ অংশীদার।’ ন্যাটো প্রধান এদিন আরও বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এটি একটি ভালো দিন।’ এই দুই দেশের আবেদন এখন ন্যাটোর ৩০ সদস্য দেশ খুটিয়ে দেখবে। এবং নিয়ম অনুযায়ী ৩০টি দেশকেই এই অন্তর্ভুক্তির জন্য অনুমোদন দিতে হবে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে প্রায় দুই সপ্তাহ সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান ইতিমধ্যেই ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের যোগদানের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন।

এদিকে যদি আমেরিকা ও অন্যান্য মিত্র দেশ তুরস্ককে বুঝিয়ে রাজি করাতে পারে, তাহলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সুইডেন ও ফিনল্যান্ড যোগ দেবে ন্যাটোতে। সাধারণত এই পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে ১২ মাস সময় লাগে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে এই প্রক্রিয়া দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে ন্যাটো দেশগুলি। তবে যদি তুরস্ক বেঁকে বসে, তাহলে ন্যাটো দেশগুলির সম্পর্কে চিড় ধরতে পারে। এই জটিল ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে যা বেশ তাত্পর্যপূর্ণ হতে চলেছে। এই আবহে ব্রাসেলসের হেডকোয়ার্টারে দাঁড়িয়ে জোট প্রধান স্টোল্টেনবার্গ বলেন, ‘ন্যাটোর সমস্ত সদস্য দেশই জোট সম্প্রসারণের গুরুত্বের বিষয়ে একমত। আমরা সবাই একমত যে আমাদের একসাথে দাঁড়াতে হবে এবং আমরা সবাই একমত যে এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এই মুহূর্তকে আমাদের আগলে রাখতে হবে।’