China-Taiwan Conflict: মহড়ার আড়ালে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে চিন? বিস্ফোরক দাবি তাইওয়ানের
China-Taiwan Conflict: সোমবারই তাইওয়ানের আশেপাশের অঞ্চলে ৪৫টি যুদ্ধবিমান ও ১০টি যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে চিন, এমনটাই অভিযোগ তাইওয়ান বিদেশমন্ত্রকের।
তাইপেই: মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরই ফের আগ্রাসী রূপ ধরেছে চিন। তাইওয়ান সীমান্তের কাছেই শুরু করেছে সামরিক মহড়া। তিনদিনের জন্য এই মহড়া হওয়ার কথা থাকলেও, সেই মেয়াদ পার হওয়ার পরও মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে লাল ফৌজ। চিনের এই সামরিক মহড়া নিয়েই এবার বিস্ফোরক অভিযোগ আনল তাইওয়ান। দ্বীপরাষ্ট্রের বিদেশমন্ত্রী জোসেফ ইয়ু দাবি করলেন, সামরিক মহড়ার নামে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে চিন। সোমবারই তাইওয়ানের আশেপাশের অঞ্চলে ৪৫টি যুদ্ধবিমান ও ১০টি যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে চিন, এমনটাই অভিযোগ তাইওয়ান বিদেশমন্ত্রকের।
মার্কিন প্রতিনিধির সফর নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল চিনের। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে বার্তালাপের সময়ও এই সফর বাতিলের আর্জি জানিয়েছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। কিন্তু সেই অনুরোধ-হুঁশিয়ারিকে উপেক্ষা করেই তাইওয়ান সফরে যান ন্য়ান্সি পেলোসি। তার সফরের প্রথমদিনই তাইওয়ানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে ২১টি যুদ্ধবিমান। পেলোসি তাইওয়ান ছাড়তেই ফের ২৭টি চিনা যুদ্ধবিমান দেখা যায় তাইওয়ানের আকাশে। এরপরই তাইওয়ান সীমান্তের কাছে সামরিক মহড়া শুরু করে চিন।
মঙ্গলবার তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে টুইট করে জানানো হয়, বিকেল ৫টা নাগাদ ১০টি যুদ্ধজাহাজ ও ৪৫টি যুদ্ধবিমানকে তাইওয়ানের সীমান্তের আশেপাশে পাক খেতে দেখা যায়। তাইওয়ানের সশস্ত্র বাহিনী গোটা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে এবং চিনের এই মহড়ার জবাবে যুদ্ধ জাহাজ ও মিসাইল সিস্টেম মোতায়েন করেছে।
10 PLAN vessels and 45 PLA aircraft around our surrounding region were detected today (August 9, 2022) until 1700(GMT+8). #ROCArmedForces have monitored the situation and responded to these activities with aircraft in CAP, naval vessels, and land-based missile systems. pic.twitter.com/Qb9xl4wOIB
— 國防部 Ministry of National Defense, R.O.C. ?? (@MoNDefense) August 9, 2022
জানা গিয়েছে, তাইওয়ানও কমব্যাট এয়ার পেট্রোল শুরু করেছে। সীমান্তে পাঠানো হয়েছে ডিফেন্সিভ মিসাইল সিস্টেম। চিনা যুদ্ধবিমান দেখলেই রেডিয়ো মারফত সতর্কবার্তা পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে, তাইওয়ানের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “তাইওয়ান প্রণালী সহ সীমান্তের আশেপাশে একাধিক জায়গায় মহড়া চালাচ্ছে চিনের লাল ফৌজ। দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত না থাকলেও, এই সীমা কোনও দেশের সেনাই পার করে না। কিন্তু চিনের এই পদক্ষেপ আসলে সামরিক আগ্রাসনের ইঙ্গিতই দিচ্ছে।”
উল্টোদিকে, চিনের দাবি তারা কোনও সীমান্ত লঙ্ঘন করেনি। রুটিন মাফিকই যুদ্ধের মহড়া চালাচ্ছে তারা। আর তাইওয়ান তাদের ভূখণ্ডেরই অংশ। সেক্ষেত্রে সীমান্ত পার বা আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গের প্রশ্নই ওঠে না।