China-Taiwan Clash: চিনা রক্তচক্ষুকে ভয় নয়, আক্রমণ করলে পাল্টা জবাব, হুঁশিয়ারি তাইওয়ানের

China: মার্কিন হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের এক সপ্তাহ পর থেকেই দ্বীপরাষ্টের পার্শ্ববর্তী আকাশ ও জলসীমায় চিনা যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ চক্কর কাটতে দেখা গিয়েছে।

China-Taiwan Clash: চিনা রক্তচক্ষুকে ভয় নয়, আক্রমণ করলে পাল্টা জবাব, হুঁশিয়ারি তাইওয়ানের
ছবি: গুগল থেকে সংগৃহীত
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 31, 2022 | 2:44 PM

তাইপেই: মার্কিন হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান (Taiwan) সফরের পর থেকে দ্বীপরাষ্ট্রকে রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে বেজিং (Beijing)। দ্বীপরাষ্ট্রের চারপাশে নজিরবিহীন সেনা মহড়া শুরু করেছে চিন। এবার চিনের উদ্দেশে পাল্টা হুঁশিয়ারি রাস্তাই বেছে নিল তাইওয়ান। বুধবার তাইওয়ান জানিয়েছে, চিন যদি তাদের ভূখণ্ডে ঢুকে আক্রমণ করার চেষ্টা করে, তবে আত্মরক্ষার্থে পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। স্বশাসিত ও গণতান্ত্রিক তাইওয়ান ক্রমাগত চিনা আগ্রাসনের সম্ভাবনার মধ্যে দিন কাটায়। বেজিং মনে করে তাইওয়ান চিনা ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এবং একদিন তারা দ্বীপরাষ্ট্রকে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করবে, এমনকী তার জন্য যদি বলপ্রয়োগ করার প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রেও পিছপা হবে না বেজিং।

মার্কিন হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের এক সপ্তাহ পর থেকেই দ্বীপরাষ্টের পার্শ্ববর্তী আকাশ ও জলসীমায় চিনা যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ চক্কর কাটতে দেখা গিয়েছে। এমনকী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাও করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল মনে করছিল, চিন সম্ভবত তাইওয়ান আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। যদিও সেই সম্ভাবনা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। চিনা আক্রমণ প্রসঙ্গে প্ল্যানিং ডিভিশন ও অপারেশনের ডিরেক্টর জেনারেল লিন ওয়েন হুয়াং বলেন, “আমাদের ২৪ নটিক্যাল মাইল অথবা ১২ নটিক্যাল মাইল অঞ্চলের মধ্যে যদি পিপলস লিবারেশন আর্মির বাহিনীকে প্রতিহত করতে আমাদের নৌ সেনা ও বিমান বাহিনী প্রত্যাঘাত করবে। পিএলএ এয়ারক্র্যাফ্ট অথবা যুদ্ধজাহাজ যদি আমাদের সামুদ্রিক এলাকায় প্রবেশ করে তবে আত্মরক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।”

অন্যদিকে চিনা আগ্রাসন ঠেকাতে তাইওয়ানের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে আমেরিকা। জানা গিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন তাইওয়ান সরকারকে ১০১ কোটি মার্কিন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছে। এমনকী এই নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে প্রস্তাব পেশ করা হতে পারে বলেই জানা গিয়েছে। এই বিপুল অস্ত্রের মধ্য ৬০টি অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইল এবং ১০০টি এয়ার টু এয়ার মিসাইল রয়েছে। বাইডেন প্রশাসন যদি তাইওয়ানকে অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়, তবে তা উত্তাপ আরও বাড়াতে পারে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।