Texas Shooting: টেক্সাসের গুলিচালনার ঘটনায় প্রশ্নের মুখে ফেসবুক-পুলিশের ভূমিকা

Texas shooting: টেক্সাসের এলিমেন্টরি স্কুলে বন্দুকবাজের হামলার ঘটনায় প্রশ্নের মুখে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা এবং পুলিশের ভূমিকা।

Texas Shooting: টেক্সাসের গুলিচালনার ঘটনায় প্রশ্নের মুখে ফেসবুক-পুলিশের ভূমিকা
স্কুলের সামনে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 26, 2022 | 5:06 PM

টেক্সাস: বুধবার, টেক্সাসের ইউভ্লেডের এলিমেন্টরি স্কুলে কিশোর বন্দুকবাজের হামলার পর ২৪ ঘন্টা কেটে গিয়েছে। কিন্তু, আক্ষেপ যাচ্ছে না স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই ঘটনায় মোট ১৯ জন শিশু ও ২ জন প্রাপ্তবয়স্কের মৃত্যু হয়েছে। আরও ১৭ জন আহত হয়েছেন। তবে, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলি এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। অনেকেই মনে করছেন, সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা এবং পুলিশ যদি আরও একটু বেশি তৎপর হত, তাহলে হয়ত এতগুলো প্রাণ যেত না। জানা গিয়েছে, হামলার অন্তত ১৫ মিনিট আগে, ফেসবুকে জনৈক ব্যক্তিকে ব্যক্তিগত বার্তা পাঠিয়ে হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছিল ১৮ বছরের বন্দুকবাজ সালভাদোর ব়্যামোস। পাশাপাশি, প্রত্যক্ষ্যদর্শীদের দাবি স্কুলে ঢোকার প্রায় ১ ঘন্টা পর পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যা করে। তবে, পুলিশ চাইলে আরও আগেই ব্যবস্থা নিতে পারত বলে মনে করা হচ্ছে।

টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্য়াবট জানিয়েছেন, হামলার প্রায় ১৫ মিনিট আগে ফেসবুকে তিনটি পোস্ট করে তার পরিকল্পনা জানিয়েছিল ওই বন্দুকবাজ। প্রথম বার্তায় সে বলেছিল, সে তার ঠাকুমাকে গুলি করতে চলেছে। পরের বার্তায় সে বলেছিল, ঠাকুমাকে গুলি করা হয়ে গিয়েছে। তৃতীয় বার্তায় জানিয়েছিল, সে একটি এলিমেন্টরি স্কুলে হামলা করতে চলেছে। তবে স্কুলের নাম সে জানায়নি। ফেসবুক সংস্থার দাবি, সে এই বার্তাগুলি পোস্ট করেনি। সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বার্তাগুলি সে ব্যক্তিগতভাবে পাঠিয়েছিল জার্মানির এক ১৫ বছরের কিশোরীকে। তার সঙ্গে আগে অনলাইনে পরিচয় হয়েছিল সালভাদোরের। ফেসবুক সংস্থার দাবি, ওই বার্তাগুলি যদি সে পোস্ট করত, তাহলে অনেক আগেই তাদের চোখে পড়ত। তারা প্রশাসনকে সতর্ক করতে পারত। কিন্তু, ব্যক্তিগত বার্তা হওয়ায় যতক্ষণে তারা ওই বার্তাগুলি সম্পর্কে জানতে পারে, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।

একইসঙ্গে, ইনস্টাগ্রামেও হামলার ইঙ্গিত দিয়েছিল সালভাদোর। এক অপরিচিত ব্যক্তিকে বন্দুকের ছবি পাঠিয়ে লিখেছিল, ‘আমি হামলা চালাতে যাচ্ছি’ । তার ইনস্টাগ্রাম অ্য়াকাউন্ট ভর্তি ছিল বন্দুকের ছবিতে। এই ঘটনার পর তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ফেসবুক সংস্থার পাশাপাশি আতসকাচের নিচে রয়েছে পুলিশের ভূমিকাও। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পুলিশ আসার পরও অন্তত ২০ মিনিট স্কুলের ভিতরে ছিল ওই বন্দুকবাজ। ওই সময়ে পুলিশকর্মীরা বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন। অভিভাবকদের অনেকেই তাদের ভিতরে যাওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু, পুলিশের পক্ষ থেকে দ্বিধা ছিল। তারা অনেকটা সময় বাইরে অপেক্ষা করে। আরও আগে ভিতরে গেলে অনেকের প্রাণই বাঁচাতে পারত তারা, এমনটাই দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের।

তবে, এই অভিযোগ মানতে চায়নি প্রশাসন। পুলিশের দাবি, একটি ক্লাসরুমে নিজেকে বন্দি করে ফেলেছিল সালভাদোর। সেই ক্লাসরুমে ঢুকতে সমস্যায় পড়েছিল পুলিশ, কিন্তু তাদের দিক থেকে কোনও দ্বিধা ছিল না। ইউএস বর্ডার পেট্রল প্রধান রাউল ওর্তিজ বলেছেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব পুলিশ ওই ক্লাসরুমের ভিতরে ঢুকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’