Sri Lanka Economic Crisis: ‘আগামী দু’মাস সবচেয়ে কঠিন সময়’, আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির ইঙ্গিত শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর
Economic Crisis: বেশ কয়েকমাস ধরেই চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি ছোট এই দ্বীপরাষ্ট্র। মূলত বিদেশি মুদ্রায় ঘাটতি ও নগদের অভাব দেশকে আর্থিক দুর্দশার দিকে ঠেলে দিয়েছে।
কলোম্বো: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) আর্থিক অবস্থা ক্রমশই খারাপ দিকে গিয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণে চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি এই দেশ। লাগামছাড়া জ্বালানির দাম, প্রয়োজনীয় জিনিসের মাত্রাতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধি ও ক্রমাগত বিদ্যুৎ বিভ্রাট শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষকে সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের (Mahinda Rajapaksa) বিরুদ্ধে পথে নামতে বাধ্য করেছিল। জনতার চাপের কাছে নতি স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মাহিন্দা। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি সামাল দিতে রেনিল বিক্রমসিংঘে (Ranil Wickremesinghe) প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন। কিন্তু এবার তাঁর গলাতেও কি ভিন্ন সুর? সোমবার একটি টুইট করেন শ্রীলঙ্কার নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী। টুইটে সেদেশের সাধারণ মানুষের দুর্গতি কমানোর কোনও পথ নির্দেশিকা তো নেই, বরং সেই টুইটে মানুষের দুর্দশা আরও বাড়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। টুইটে রনিল বিক্রমসিংঘে লেখেন, “আগামী দু’মাস আমাদের জীবনের সবথেকে কঠিন সময় হতে চলেছে। সত্যি লুকিয়ে জনসাধারণকে মিথ্যে বলার কোনও অভিপ্রায় আমার নেই। যদিও এই তথ্যগুলি অপ্রীতিকর এবং ভয়ঙ্কর, কিন্তু এটাই বাস্তব পরিস্থিতি।” অর্থনীতিবিদদের একাংশ আগেভাগেই বলেছিল খুব তাড়াতাড়ি সেদেশের আর্থিক সমস্যার সমাধান হবে না, এদিন সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন নয়া প্রধানমন্ত্রী।
বেশ কয়েকমাস ধরেই চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি ছোট এই দ্বীপরাষ্ট্র। মূলত বিদেশি মুদ্রায় ঘাটতি ও নগদের অভাব দেশকে আর্থিক দুর্দশার দিকে ঠেলে দিয়েছে। সোমবার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন রনিল। তিনি জানিয়েছেন, দেশের আর্থিক অবস্থা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে এবং শ্রীলঙ্কায় নগদের অভাব হওয়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণ পেট্রোল নেই। জ্বালানি না থাকলে যে অর্থনৈতিক সঙ্কট আরও বাড়বে সেকথা সকলেই জানেন। সোমবার প্রধানমন্ত্রী রনিল বলেন, “আমাদের পর্যাপ্ত পেট্রোল নেই… এই মুহূর্তে আমাদের দেশে একদিনের পেট্রোল মজুত করা রয়েছে।”
দেশের আর্থিক সঙ্কটের মোকাবিলার সব রাজনৈতিক দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে তিনি একটি জাতীয় কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব করেছিলেন, পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা এয়ারলাইন্স বেসরকারিকরণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। দেশে ১৪ টি প্রয়োজনীয় ওষুধের ঘাটতি রয়েছে, এমনকী স্বল্পমেয়াদে দেশের মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার ইঙ্গিত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী রনিল সোমবার বলেন, “বেতন ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী জোগান বজায় রাখার জন্য আমরা আরও বেশি পরিমাণে মুদ্রা ছাপিয়ে যাচ্ছি।” নয়া প্রধানমন্ত্রী দেশের আর্থিক সঙ্কট মোকাবিলায় আর কী কী পদক্ষেপ করেন, সেটাই এখন দেখার।