Bizarre News: চার বছর ধরে বিস্কুট খেয়েই দিন কাটাচ্ছেন এই যুবতী
Bizarre News: মূলত হজমের সমস্যার জন্যই বিস্কুট খেয়ে দিন কাটাতে হয় তালিয়া সিন্নটকে। যদিও তাঁর হজমের এই অবস্থা বরাবর ছিল না। ২০১৮ সাল থেকেই তাঁর এই সমস্যা শুরু হয়।
লন্ডন: অন্য কোনও খাবার নয়, কেবল ডায়জেস্টিভ বিস্কুট খেয়েই জীবিত রয়েছেন ২৫ বছরের যুবতী। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও ব্রিটেনের (Britain) যুবতী, তালিয়া সিন্নট এভাবেই বছরের পর বছর কাটাচ্ছেন। তবে তালিয়া সিন্নটের বিস্কুট খেয়ে দিনযাপন অবশ্য খারাপ নেই তালিয়া। বরং বিস্কুট ছাড়া অন্য কোনও খাবার বা পানীয় খেলেই সমস্যা শুরু হয়। তালিয়ার কথায়, “যদি আমি একটু বেশি কিছু খাই বা পান করি, তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই অসহ্য পেট ব্যাথা ও বমি শুরু হয়ে যায়।”
মূলত হজমের সমস্যার জন্যই বিস্কুট খেয়ে দিন কাটাতে হয় তালিয়া সিন্নটকে। যদিও তাঁর হজমের এই অবস্থা বরাবর ছিল না। ২০১৮ সাল থেকেই তাঁর এই সমস্যা শুরু হয়। বিশেষ এক ভাইরাস থেকেই তাঁর এই সমস্যার সূত্রপাত বলে দাবি তালিয়ার। তিনি জানান, ২০১৮ সালে এক ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হন তিনি। সেই ভাইরাস তাঁর সমগ্র হজম-পদ্ধতি নষ্ট করে দেয়। তারপর বহু চিকিৎসার পরেও সুফল মেলেনি। ডায়জেস্টিভ বিস্কুট ছাড়া অন্য কিছু খেলেই বমি, পেট ব্যথার পাশাপাশি বুকে পর্যন্ত ভার অনুভব করেন তালিয়া। তাঁর বাবা পিটার সিন্নট মেয়েকে লন্ডনের বড়-বড় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। চিকিৎসকদের মতে, এটি বিরলতম অসুখ। লন্ডনের এক বিশিষ্ট চিকিৎসক জানান, এই রোগের নাম ‘গ্যাসট্রোপ্যরেসিস’। পিটার সিন্নট বলেন, “গ্যাসট্রোপ্যরেসিসের সমস্যা কখনও নিরাময় হয় না। তবে এই রোগের বিশেষ চিকিৎসা রয়েছে।” সেই চিকিৎসা খরচসাপেক্ষ।
তালিয়ার চিকিৎসার জন্য সিন্নট পরিবার প্রায় ৮০ হাজার পাউন্ডের (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭৭ লাখ টাকা) একটি তহবিল গড়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। যদিও ব্রিটেনের জাতীয় হেল্থ সার্ভিস (এনএইচএস)-এর সাধারণত এটা পাওয়া যায় না। চিকিৎসকেরা তালিয়াকে আর পাঁচজনের মতো সাধারণ জীবন দিতে তাঁর যকৃতে গ্যাসট্রিক পেসমেকার বসাবেন, যেটি খাবার হজম করার তাঁর পেটের পেশিকে প্ররোচিত করবে। এটির জন্যই খরচ পড়বে প্রায় ৮০ হাজার পাউন্ড। এই টাকা জোগাড় না হলে তালিয়ার চিকিৎসা অসম্পূর্ণ রইবে। আর চিকিৎসা না হলে তাঁকে কেবল বিস্কুট খেয়েই জীবন কাটাতে হবে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। ফলে মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন তালিয়ার পরিবার।