Russia-Ukraine Conflict: ‘এক ইঞ্চি জমিও ছাড়ব না’, আত্মসমর্পণের প্রস্তাব খারিজ যুদ্ধবিধ্বস্ত মারিউপোলের
Russia-Ukraine Conflict: ভৌগলিক অবস্থানের জন্যই মারিউপোল ইউক্রেন ও রাশিয়ার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্ব অবস্থিত এই শহরে বড় বন্দর থাকায়, সামরিক অভিযানের শুরু থেকেই মারিউপোল মস্কোর নিশানা হয়ে রয়েছে।
কিয়েভ: আলোচনা চলছে, তারইমাঝে ইউক্রেন(Ukraine)-র উপরে হামলাও চালাচ্ছে রাশিয়া (Russia)। তাদের নতুন নিশানা হয়ে উঠেছে ইউক্রেনের বন্দর শহর মারিউপোল (Maruipol)। যুদ্ধ শুরুর কিছুদিন পর থেকেই এই শহরে জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল রুশ সেনা। চরম সঙ্কট দেখা গিয়েছে খাবার ও পানীয় জলের। তবে এখনও হার মানতে নারাজ ইউক্রেনবাসী। রাশিয়ার তরফে মারিউপোলকে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দেওয়া হলেও, এদিন ইউক্রেনের তরফে সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়া হয়।
সম্প্রতিই মারিউপোলকে অন্তিম হুঁশিয়ারি দিয়েছিল রুশ সেনা। শহরের উপর লাগাতার হামলা থামাতে ও নাগরিকদের সুরক্ষার স্বার্থে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এদিন সকালে ইউক্রেনের উপ প্রধানমন্ত্রী ইরানা ভেরেস্কচুক জানান, কোনওভাবেই তারা আত্মসমর্পণ করবেন না। রাশিয়াকেও এই কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ভৌগলিক অবস্থানের জন্যই মারিউপোল ইউক্রেন ও রাশিয়ার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্ব অবস্থিত এই শহরে বড় বন্দর থাকায়, সামরিক অভিযানের শুরু থেকেই মারিউপোল মস্কোর নিশানা হয়ে রয়েছে। যদি রুশ সেনা মারিউপোল দখল করতে পারে, তবে একদিকে যেমন ক্রিমা পার্বত্য অঞ্চল দিয়ে প্রবেশপথ খুলে যাবে। একইসঙ্গে কৃষ্ণসাগরের সঙ্গে মারিউপোলের বন্দরগুলি যুক্ত থাকায়, সমুদ্রপথেও হামলা চালাতে সুবিধা হবে রাশিয়ার।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনের উপরে সামরিক অভিযান শুরু করার পর, সবথেকে বেশি গোলাবর্ষণ হয়েছে মারিউপোলেই। বর্তমানে প্রায় ৪ লক্ষেরও বেশি বাসিন্দা শহরের ভিতরেই খাবার, পানীয় জল, বিদ্যুৎ ছাড়াই আটকে রয়েছেন। এদিকে, গতকালই রাশিয়ার তরফে জানানো হয়, কৃষ্ণসাগরে অবস্থানরত এক রুশ সামরিক জাহাজের কম্যান্ডারকে মারিউপোলে হত্যা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জ়েলেনস্কি ফের একবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন। রাশিয়া যে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং তার জেরে যে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা কিছুটা পূরণ করার এটাই একমাত্র সুযোগ বলে তিনি জানান। তবে রাশিয়ার তরফে এই প্রস্তাবের কোনও জবাবই দেওয়া হয়নি। উল্টে বিগত দুদিন ধরে হাইপারসনিক মিসাইল প্রয়োগ করা হচ্ছে।