Ukraine Sack 5 Country’s Ambassadors: সম্পর্কে চিড়? ভারত সহ ৫ দেশের রাষ্ট্রদূতকে বরখাস্ত করলেন জ়েলেনস্কি
Russia-Ukraine conflict: যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ভারত কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের আর্জি জানিয়েছে। একাধিকবার যুদ্ধ থামানোর আর্জি জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সভাতেও ভারত কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনার পক্ষেই সওয়াল তুলেছে।
কিয়েভ: যুদ্ধের মাঝেই হঠাৎ চরম সিদ্ধান্ত নিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। শনিবারই তিনি হঠাৎ জার্মানিতে কিয়েভের রাষ্ট্রদূতকে বরখাস্ত করে দেন। বরখাস্ত করেন ভারত সহ মোট পাঁচ দেশের রাষ্ট্রদূতকেও। প্রেসিডেন্টের ওয়েবসাইটে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কী কারণে তাদের বরখাস্ত করা হল, সে বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি ইউক্রেনের তরফে।
শনিবার হঠাৎ জানানো হয়, ইউক্রেনে ভারত, জার্মানি, চেক রিপাবলিক, নরওয়ে ও হাঙ্গেরির রাষ্ট্রদূতদের বরখাস্ত করা হয়েছে। কী কারণে তাদের বরখাস্ত করা হল, সে সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। তাদের নতুন চাকরি দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়েও জানানো হয়নি।
তবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেন বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে সাহায্য চেয়ে আসছে। যে সমস্ত দেশের কাছ থেকে সেভাবে সাহায্য বা কোনও জবাব পায়নি, তাদের সঙ্গেই সম্পর্ক ছিন্ন করতে চান প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কি। আর সেই প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। যদিও সরকারিভাবে এই বিষয়ে এখনও কোনও ঘোষণা করা হয়নি ইউক্রেনের তরফে। অন্যদিকে, ভারত বা অন্যান্য দেশগুলিও আপাতত নিশ্চুপই রয়েছে।
উল্লেখ্য, যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ভারত কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের আর্জি জানিয়েছে। একাধিকবার যুদ্ধ থামানোর আর্জি জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সভাতেও ভারত কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনার পক্ষেই সওয়াল তুলেছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি ও ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে কথা বলেছেন। তবে যুদ্ধ নিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখতেই রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভোটদান থেকে বরাবর বিরত থেকেছে ভারত। কূটনীতিবিদদের মতে, এই সিদ্ধান্তই প্রবাবিত করেছে ভারত-ইউক্রেনের সম্পর্ক। রাশিয়া ক্রমাগত হামলা চালানোয় এবং আমেরিকা সহ কয়েকটি দেশের কাছ থেকে অস্ত্র সাহায্য পাওয়া ছাড়া বিশেষ কোনও সমর্থন না পাওয়াতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কি।
ভারত বাদে যে দেশের সঙ্গে ইউক্রেনের সম্পর্ক বর্তমানে চর্চায় রয়েছে, তা হল জার্মানি। ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ হলেও, জ্বালানির জন্য রাশিয়ার উপর অতি-নির্ভরশীল জার্মানি। ইউরোপের অন্যতম বড় অর্থনীতির দেশকেই পাশে না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ ইউক্রেন।