Pakistan Flood : বন্যায় ভাসছে পাকিস্তান, উদ্বেগে দিন কাটছে সাড়ে ৬ লক্ষ গর্ভবতীর
Pakistan Flood : পাকিস্তানে বন্য়ার কবলে প্রায় ৩.৩ কোটি মানুষ। জলবায়ু পরিবর্তনের এই প্রভাবে চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাড়ে ৬ লক্ষ অন্তঃসত্ত্বা মহিলা।
ইসলামাবাদ : জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন পড়শি দেশ পাকিস্তান। বন্যায় ভাসছে পাকিস্তানের একাধিক প্রদেশ। মূলত বালোচিস্তান ও সিন্ধ প্রদেশে ভাসছে বন্যায়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সেখানে রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। ভেসে গিয়েছে পাকিস্তানের এক তৃতীয়াংশ। সেখানে বন্যার কবলে প্রায় ৩.৩ কোটি মানুষ। ঘরছাড়া বহু মানুষ। মারা গিয়েছেন ১৫৬৯ জন। গত কয়েক দশকে এরকম ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন আগে হয়নি এই দেশ। পরিস্থিতি পরিদর্শন করে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সেক্রেটারি জেনেরাল অ্যান্টোনিও গুতেরাস জানিয়েছিলেন, তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের এই প্রভাব আগে কখনও চাক্ষুষ করেননি। এই পরিস্থিতিতে সাহায্য়ের জন্য ভারত সহ একাধিক দেশের দিকে তাকিয়ে পাকিস্তান।
এদিকে আগে থেকেই গলা অবধি ঋণে জর্জরিত পাকিস্তান। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব ভাল অবস্থায় নেই। এই নজিরবিহীন বন্যার কারণে আরও একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখে এ দেশ। এই বন্যায় যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের রাস্তা, পরিকাঠামো সেরকমই চিকিৎসাগত সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা। এই বন্যায় সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গর্ভবতী মহিলারা। তাঁরা এই শারীরিক অবস্থায় কোনও সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না। রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি মাসেই প্রায় ৭৩ হাজার মহিলা সন্তান প্রসব করতে পারেন। তাঁদের অবশ্যই সঠিক চিকিৎসার প্রয়োজন। সন্তান ডেলিভারি করানোর জন্যও দক্ষ সহযোগীর দরকার। এর পাশাপাশি সদ্যোজাতের যত্নের প্রয়োজন পড়বে। কিন্তু রাষ্ট্রসঙ্ঘের জনসংখ্যা তহবিলের (UNFA) রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, বন্য়া কবলিত এলাকায় প্রায় ৬ লক্ষ ৫০ হাজার মহিলা গর্ভাবস্থায় রয়েছেন। তাঁদের নিরাপদ গর্ভাবস্থা ও কোনও প্রতিবন্ধকতা ছাড়া সন্তান প্রসব নিশ্চিত করতে তাঁদের স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রয়োজন। কিন্তু বন্যার কারণে সেখানে সব পরিষেবা আপাতত থমকে গিয়েছে।
পাকিস্তানে নিজের বাড়ি ছেড়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন ত্রাণ শিবিরে। সেখানে চিকিৎসা তো দুরস্থ দু-মুঠো খাবার জোগাড় করতেই নাজেহাল সাধারণ নাগরিক। এদিকে অনেক মহিলাই এই সময়ে সন্তান প্রসব করেছেন। কোনওরকম স্বাস্থ্য পরিষেবা ছাড়াই তাঁদের এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, পুষ্টিগত চাহিদাটুকু মেটানোর জন্য খাবার ও বিশুদ্ধ পানীয় জলটুকুও নেই তাঁর কাছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, পাকিস্তানে ১,৪৬০ টির মতো পরিষেবা প্রভাবিত হয়েছে। সেখানে চিকিৎসা পরিষেবার মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবার কোমড় ভেঙে গিয়েছে। UNFPA আরও সতর্ক করেছে, এই সময়ে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা বাড়তে পারে কারণ এই বন্যার ফলে প্রায় ১০ লক্ষ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।