‘আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরালেই সক্রিয় হবে জঙ্গি সংগঠনগুলি’, আশঙ্কার কথা জানালেন মার্কিন সেনা অফিসার

গত কয়েক বছর ধরে আফগানিস্তানে (Afganistan) নিরাপত্তার স্বার্থে মোতায়েন রয়েছে মার্কিন সেনা (US Army)। এবার সেই সেনা সরালেই নতুন করে প্রতিবেশী দেশে বিপদ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।

'আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরালেই সক্রিয় হবে জঙ্গি সংগঠনগুলি', আশঙ্কার কথা জানালেন মার্কিন সেনা অফিসার
প্রতিবেশী দেশগুলিতে বাড়তে পারে জঙ্গিদের দাপট
Follow Us:
| Updated on: Apr 27, 2021 | 1:41 PM

জ্যোতির্ময় রায় : আফগানিস্তান (Afganistan) থেকে মার্কিন সেনা (US Army) প্রত্যাহার করার পর সন্ত্রাসবাদীরা ফের দলবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করবে। পেন্টাগন থেকে এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের জুনিয়র কমান্ডার জেনারেল কেনেথ এফ ম্যাকেনজি। এই পরিস্থিতিতে আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের (ISIS) মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি পাকিস্তানের (Pakistan) জন্য অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

শুধু পাকিস্তান নয়, আফগানিস্তানের অন্যান্য প্রতিবেশী দেশেও এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি প্রভাব ফেলতে পারে বলে জানিয়েছেন ওই মার্কিন সেনা আধিকারিক। তিনি বলেন, ‘যদি এদের ওপর অবিচ্ছিন্নভাবে চাপ তৈরি না করা হয়, তাহলে এই সংগঠনগুলি আবার একজোট হবে এবং আফগানিস্তানের সব প্রতিবেশী দেশ বিশেষত পাকিস্তানের জন্য এই ধরনের পরিস্থিতি উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠতে পারে।’

জেনারেল ম্যাকেনজি মূলত পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক কার্যক্রমের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত। সাংবাদিক বৈঠকে ম্যাকেনজি আরও বলেন, ‘মার্কিন সেনা অফিসার ও কূটনীতিকরা এই সমস্যা সমাধানের জন্য পার্শ্ববর্তী দেশগুলির সঙ্গে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি তৈরির বিষয়ে চুক্তির চেষ্টা করছেন। যাতে সে সব জায়গায় যুদ্ধবিমানও রাখা যেতে পারে, যা প্রয়োজনে পদক্ষেপ নিতে পারবে।’

আরও পড়ুন: উপকারের প্রতিদান, ভারতকে সম্পূর্ণ সাহায্যের আশ্বাস বাইডেনের

অন্যদিকে, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেছেন যে পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে সব বিরোধ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে চায়। ২০১৯-এর ৫ অগস্ট কাশ্মীরের বিষয়ে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি ভারতের প্রথমে পুনর্বিবেচনা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, এই দিনটিতে ভারত ৩৭০ ধারা অপসারণ সহ বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তুরষ্কের সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় পাক বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, ‘ভারতের সঙ্গে আলোচনায় আমাদের কোনও সমস্যা নেই। আলোচনার জন্য তাকে প্রথমে কাশ্মীরকে নিয়ে বিবেচনা করতে হবে।’ পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে অনেক ইস্যু রয়েছে, যা আলোচনা করে সমাধান করা যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি।