মার্কিন কোর্টে জোর ধাক্বা খেল ‘ইসরো’! ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ১২০ কোটি মার্কিন ডলার

২৭ অক্টোবর মার্কিন বিচারপতি টমাস এস জিলি অ্যান্ট্রিক্স কর্পোরেশনকে সুদ সমেত ১২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন।

মার্কিন কোর্টে জোর ধাক্বা খেল 'ইসরো'! ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ১২০ কোটি মার্কিন ডলার
ছবি- ইসরো
Follow Us:
| Updated on: Nov 03, 2020 | 12:06 PM

TV 9 বাংলা ডিজিটাল: মার্কিন কোর্টে জোর ধাক্বা খেল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র (ISRO)। ইসরোর বাণিজ্যিক শাখাকে বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল মার্কিন কোর্ট। নির্দেশ অনুযায়ী, ইসরোর বাণিজ্যিক শাখা অ্যান্ট্রিক্স কর্পোরেশনকে ১২০ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বেঙ্গালুরুর দেবদাস মাল্টিমিডিয়া সংস্থাকে।

২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে ‘অ্যান্ট্রিক্স’ ও ‘দেবদাসের’ মধ্যে চুক্তি হয়। সেখানে স্থির হয় অ্যান্ট্রিক্স কর্পোরেশন দুটি উপগ্রহ তৈরি করবে দেবদাস মাল্টিমিডিয়ার জন্য। বেঙ্গালুরুর কোম্পানির হয়ে উপগ্রহগুলির উৎক্ষেপণ ও নিয়ন্ত্রণের বিষয়ও দেখবে ‘অ্যান্ট্রিক্স’।

কিন্তু ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সেই চুক্তি ভেঙে দেয় ‘অ্যান্ট্রিক্স’। তারপর দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় আইনি লড়াই। সুপ্রিম কোর্টের গণ্ডি পেরিয়ে আবেদন যায় মার্কিন কোর্টে। অবশেষে ২৭ অক্টোবর মার্কিন বিচারপতি টমাস এস জিলি অ্যান্ট্রিক্স কর্পোরেশনকে সুদ সমেত ১২০ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন। মার্কিন কোর্ট দুই পক্ষের কাছ থেকে ১৫ এপ্রিল রিপোর্ট তলব করেছিল। সেই মতোই ১৬ জুলাই ‘অ্যান্ট্রিক্স’ ও ‘দেবদাস’ রিপোর্ট জমা করে। সেই মতোই ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিল মার্কিন কোর্ট।

দেবদাস মাল্টিমিডিয়া সংবাদমাধ্যমকে জানায়, চুক্তির পর ৫ বছর দুই সংস্থার সুসম্পর্ক ছিল। ২০০৯ সালের মে মাসে ইসরোর স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ডঃ আপ্পান্না ভাস্করায়ন দেবদাস মাল্টিমিডিয়াকে সঙ্গী করে আমেরিকার বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে কয়েক দফায় মিটিং করেন। তারপর ২০১১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দেবদাসকে চুক্তি ভঙ্গের নোটিস পাঠায় ‘অ্যান্ট্রিক্স’। ইসরোর বাণিজ্যিক সংস্থা জানায়, এই মুহুর্তে তাদের পক্ষে চুক্তির বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করা সম্ভব নয়।

দেবদাস মাল্টিমিডিয়া এরপর উচ্চতর পর্যায়ের বৈঠকের আবেদন করে। তাতে কাজ না হওয়ায় ২০১১ সালের জুন মাসে ‘ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের’ নিয়ম অনুযায়ী মধ্যস্থতার পথে হাঁটতে চায় দেবদাস মাল্টিমিডিয়া। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট থেকে মধ্যস্থতায় নিষেধাজ্ঞা অর্জন করে ‘অ্যান্ট্রিক্স’। এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে পরবর্তী ১ বছর। পরে নিষেধাজ্ঞা উঠলে মধ্যস্থতার পথে আসে ‘অ্যান্ট্রিক্স’।