US President to Visit Poland: যুদ্ধের মাঝেই পোল্যান্ডে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাইডেনের, রাশিয়াকে রুখতে ময়দানে নামবে ন্যাটো?
Russia-Ukraine Conflict: জানা গিয়েছে, পোল্যান্ডের আগে বেলজিয়াম সফরে যাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেখানে তিনি ন্যাটো, জি-৭ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন এবং রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়েই আলোচনা করবেন।
ওয়াশিংটন: ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে আমেরিকা ইউক্রেনেরই পক্ষ নিয়েছে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই রাশিয়াকে হামলা থামানোর হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। তবে সেই হুঁশিয়ারিকে আমলও দিচ্ছে না রুশ সেনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে তাই এবার যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রবিবার হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়, আগামী শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পোল্যান্ডে যাবেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ় দুদার সঙ্গে দেখা করতে। ইউক্রেনের উপরে রাশিয়া যে সামরিক অভিযান শুরু করেছে, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন পেনস্কি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেন, “রাশিয়া অনৈতিক ও বিনা প্ররোচনায় যেভাবে ইউক্রেনের উপরে সামরিক অভিযান শুরু করে যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে, তার জেরে মানবাধিকার ও মানবিক সঙ্কট দেখা গিয়েছে, তাতে আমেরিকা ও ন্যাটোর সদস্য দেশগুলির কী প্রতিক্রিয়া এবং গোটা বিষয়টিকে তারা কীভাবে দেখছেন, তা নিয়েই আলোচনা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।”
জানা গিয়েছে, পোল্যান্ডের আগে বেলজিয়াম সফরে যাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেখানে তিনি ন্যাটো, জি-৭ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন এবং রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়েই আলোচনা করবেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধিতায় যাতে সমস্ত দেশগুলি একজোট হয়, তার উপরও জোর দেওয়া হবে। তবে এখনই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছেন জেন পেনস্কি।
গত সপ্তাহেই পোলিশ প্রধানমন্ত্রী মাতেউজ় মোরাউইকি চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে গিয়েছিলেন। এদিকে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও চলতি মাসের শুরুতেই ওয়ার্সোয় পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ় দুদার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সেই সময় দুজনই রাশিয়ার সামরিক অভিযানের নিন্দা করেছিলেন।
এদিকে, সম্প্রতিই পোল্যান্ডের তরফে ইউক্রেনে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান পাঠানোর কথা বলা হয়েছিল। সেই কাজের জন্য মার্কিন বিমানঘাঁটি ব্যবহারের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমেরিকার তরফে সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে সরাসরি মার্কিন প্রেসিডেন্টের পোল্যান্ড সফর দুই দেশের সম্পর্কে পরিবর্তন আনতে পারে।