‘দাপট কমেনি করোনার’, কোন ৪ কারণে বাড়ছে সংক্রমণ, জানালেন সৌম্যা স্বামীনাথন

WHO Chief Scientist on COVID-19 Spread: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কবে কোভ্যাক্সিনের অনুমোদন দেবে, সম্প্রতি এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছেন, তৃতীয় ট্রায়ালের ফল বেশ আশাজনক।

'দাপট কমেনি করোনার', কোন ৪ কারণে বাড়ছে সংক্রমণ, জানালেন সৌম্যা স্বামীনাথন
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 10, 2021 | 2:39 PM

জেনেভা: করোনার দাপট কমে গিয়েছে বলে মনে করা হলেও ফের একবার বিশ্বের নানা প্রান্তে ফের একবার মাথাচাড়া দিয়েছে সংক্রমণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(World Health Organization)-র প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন (Soumya Swaminathan)। তিনি জানালেন, সংক্রমণের গতি মোটেও কমেনি।  বরং চারটি কারণেই ফের বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।

সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী বলেন, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধীনে ছয়টি অঞ্চলের মধ্যে পাঁচটিতেই সংক্রমণ বাড়ছে। আফ্রিকাতে বিগত দুই সপ্তাহে মৃত্যু হার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একদিনেই প্রায় পাঁচ লক্ষ আক্রান্ত ও ৯৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্যানডেমিকের গতি যদি কমত, তবে এই চিত্র ধরা পড়ত না।”

মূলত চারটি কারণেই করোনা ফের একবার প্রভাব বিস্তার করছে বলে জানান সৌম্যা। এই কারণগুলি হল- ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট (Delta Variant), সামাজিক মেলামেশা (Social Mixing), লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল (Lockdown Easing) ও টিকাকরণের গতি হ্রাস (Slow Pace of Vaccination) পাওয়ার কারণেই সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, ” ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট অতি সংক্রামক হওয়ায়, দ্রুত আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।সাধারণত করোনা আক্রান্ত একজনের থেকে তিনজন আক্রান্ত হতে পারেন। কিন্তু ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে একজনের মাধ্যমে আরও আটজন সংক্রামিত হতে পারেন।  মূলত এই কারণেই সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ”

অন্যদিকে, এতদিন গৃহবন্দি থাকার পর লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল হতেই মানুষ বাড়ি থেকে বেরনো শুরু করে দিয়েছেন। জনসমাগম হচ্ছে, ভিড় বাড়ছে। ফলে সংক্রমণ বাড়ছে। মূলত যে দেশগুলিতে বিধিনিষেধ শিথিল করে দেওয়া হয়েছে, সেখানেই সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক দেশে সামাজিক দূরত্ববিধি ও মাস্ক পরার মতো বিধিটুকুও তুলে নেওয়া হচ্ছে। ফলে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়াই স্বাভাবিক, এমনটাই মত হু-র বিজ্ঞানীর।

সৌম্যা স্বামীনাথন আরও বলেন, “টিকাকরণের ফলে করোনা গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছচ্ছে না বা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার কমেছে ঠিকই। কিন্তু বিশ্বের অন্য প্রান্তগুলিতে এখনও অক্সিজেন, হাসপাতালের শয্যার অভাব রয়েছে, যার ফলে সেই দেশগুলিতে মৃত্যু হারও বেশি।”

 বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কবে কোভ্যাক্সিনের অনুমোদন দেবে, সম্প্রতি এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছেন, তৃতীয় ট্রায়ালের ফল বেশ আশাজনক। মোটের উপর ৬০ শতাংশ কার্যকরী এই ভ্যাকসিন। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের উপর কম কার্যকরী হলেও বাকি এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বেশ ভাল। শীঘ্রই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: ‘অসমকে পুলিশ শাসিত রাজ্যে পরিণত করছেন মুখ্যমন্ত্রী’