Monkeypox: ঘন ঘন যৌনসঙ্গী বদলাচ্ছেন? আপনিও হতে পারেন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত, চরম সতর্কবার্তা WHO-র
Monkeypox: হু প্রধান জানান, এখনও অবধি বিশ্বের ৭৮টি দেশে প্রায় ১৮ হাজারেরও বেশি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এরমধ্যে ৭০ শতাংশ আক্রান্তই ইউরোপ ও ২৫ শতাংশ আমেরিকার বাসিন্দা।
জেনেভা: করোনার মতোই হু হু করে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে মাঙ্কিপক্সও। ইতিমধ্যেই মাঙ্কিপক্স নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এবার সংক্রমণ রুখতে যৌন সম্পর্ক নিয়েও সতর্ক করা হল হু-র তরফে। বুধবারই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়, যৌন সংস্পর্শের মাধ্যমে মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন সমকামী পুরুষরাই, যারা পুরুষদের সঙ্গেই যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন। মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ রুখতে, তাদের ঘনঘন যৌনসঙ্গী না বদলানোরই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গত শনিবারই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গ্রেবেয়াসিস মাঙ্কিপক্সকে বিশ্ব স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা বা গ্লোবাল হেলথ এমার্জেন্সি হিসাবে ঘোষণা করেন। কীভাবে সংক্রমণ রোখা যায়, তার সবথেকে সহজ উপায় হিসাবে তিনি ভাইরাসের সংস্পর্শ এড়িয়ে যাওয়ারই পরামর্শ দিয়েছেন। বুধবার এ বিষয়ে তিনি বলেন, “যে সমস্ত পুরুষ তাদের পুরুষসঙ্গীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন, তাদের আপাতত ঘনঘন যৌনসঙ্গী বদলানো, নতুন যৌনসঙ্গী বেছে না নেওয়ারই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”
হু প্রধান জানান, এখনও অবধি বিশ্বের ৭৮টি দেশে প্রায় ১৮ হাজারেরও বেশি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এরমধ্যে ৭০ শতাংশ আক্রান্তই ইউরোপ ও ২৫ শতাংশ আমেরিকার বাসিন্দা। গত মে মাস থেকে ছড়িয়ে পড়া এই সংক্রমণে এখনও অবধি পাঁচজনের মৃত্য়ু হয়েছে।
সম্প্রতিই নিউ ইংল্যন্ড জার্নাল অব মেডিসিনে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়। ওই গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে ৯৮ শতাংশই পুরুষ, যারা অন্য কোনও পুরুষসঙ্গীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন। সংক্রমণের মধ্যে ৯৫ শতাংশই যৌন সংস্পর্শের কারণেই ছড়িয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফোস্কার মতো শরীরে যে র্যাশগুলি ওঠে, তা মূলত অতি ঘনিষ্ঠ বা যৌন সম্পর্কের কারণেই এক দেহ থেকে অন্য দেহে সংক্রমিত হয়। তবে এখনও অবধি মাঙ্কিপক্সকে যৌন সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সংক্রমণ বা সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ইনফেকশনের অ্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।