ডেল্টার ভয়াল প্রকোপ, বিশ্বের এই অংশে আছড়ে পড়েছে করোনার চতুর্থ ঢেউ, জানাল হু

Fourth Wave of COVID-19: স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পূর্ব-ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলিতে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ক্রমাগত ছড়ানোয় আক্রান্ত ও মৃতের হার বৃদ্ধি পেয়েছে।

ডেল্টার ভয়াল প্রকোপ, বিশ্বের এই অংশে আছড়ে পড়েছে করোনার চতুর্থ ঢেউ, জানাল হু
ছবি: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 30, 2021 | 1:26 PM

জেনেভা: তৃতীয় ঢেউয়ের ভয়ে যখন প্রমাদ গুনছে দেশ, সেই সময়ই মধ্য প্রাচ্যে (Middle East) আছড়ে পড়ল করোনার চতুর্থ ঢেউ (Fourth Wave of COVID-19)। বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(World Health Organization)-র তরফে জানানো হয়, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপটে মধ্য প্রাচে ফের একবার করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুরু হয়েছে সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউ।

টিকাকরণের দিক থেকে যথেষ্ট পিছিয়ে রয়েছে মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলি। এরই মধ্যে অতি সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপটে মধ্য প্রাচ্যের ২২টি দেশের মধ্য়ে ১৫টিতেই সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মরক্কো থেকে শুরু করে পাকিস্তানের মতো আশেপাশের দেশগুলিতেও এই ভ্য়ারিয়েন্ট দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, হু-র অধীনে থাকা পূর্ব-ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলিতে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ক্রমাগত ছড়ানোয় আক্রান্ত ও মৃতের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। আক্রান্ত ও হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের  মধ্য়ে অধিকাংশই আবার টিকা পাননি এখনও। এই অংশে করোার চতুর্থ ঢেউ শুরু হয়ে গিয়েছে বলা যেতে পারে।

পূর্ব-ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর আহমেদ আল-মান্ধারি বলেন, “জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ অবধি এই অঞ্চলের মাত্র ৪.১ কোটি বাসিন্দা, যা মোট জনসংখ্যা ৫.৫ শতাংশ, তারা করোনা টিকার দুটি ডোজ় পেয়েছেন। এ দিকে, সংক্রমণের হার ৫৫ শতাংশ এবং মৃত্যু হার ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বিগত এক মাসে। প্রতি সপ্তাহেই ৩ লক্ষ ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন এবং ৩৫০০ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে সংক্রমণের কারণে।”

টিউনেশিয়ার মতো একাধিক দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আইসিইউ শয্যা ও অক্সিজেনের অভাবে কার্যত ভেঙে পড়ছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও ব্যাপক হারে সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। সম্প্রতি ভাইরোজিক্যাল নামক জার্নালের একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে সংক্রমণের প্রথম ঢেউ চলাকালীন করোনা আক্রান্তদের দেহে যে পরিমাণ ভাইরাস ছিল, তা বর্তমানে এক হাজার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এক বছরের মধ্যেই ভাইরাসের ভয়াবহ আকারে রূপ পরিবর্তন হয়েছে, যারফলে ভাইরাসের সংক্রমণ হারও বৃদ্ধি পেয়েছে।  আরও পড়ুন: করোনাভীতি কাটিয়ে ১৭ মাস পর খুলছে সৌদির দরজা, প্রবেশের জন্য় পূরণ করতে হবে কী কী শর্ত?