10 August,  2024

পাত্তা পাননি মিঠুন, তারপর একদিন বিমানে...

TV9 Bangla

credit: Social Media

২০০২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘তিতলি’তে মিঠুন চক্রবর্তীর চরিত্রটা ছিল এমন–তিনি বিরাট সুপারস্টার। কেরিয়ারের গোড়ার দিকে যখন কেউ তাঁকে চেনে না, এক মেয়েকে মন দিয়েছিলেন।

পরবর্তীতে সুপারস্টার হওয়ার পর সেই কন্য়ার কন্যাই মন ঢেলে ভালবাসতে শুরু করে মিঠুনকে। পাহাড়ের হঠাৎই প্রেমিকা এবং তার কন্যার সঙ্গে দেখা মিঠুনের। তারপর এগোয় গল্প। 

অনেকটা একই ধরনের কাহিনি মিঠুনের বাস্তব জীবনেও। তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন প্রথম প্রেমিকা। সেই প্রেমের কথা মিঠুন জানিয়েছেন নিজের মুখেই।

সেই সময় মিঠুন চক্রবর্তীর ততটা খ্য়াতি তৈরি হয়নি। তখন তাঁর নাম গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী। কলকাতায় থাকেন। স্বপ্ন দেখেন জীবনে বিরাট কিছু করবেন।

এক মেয়েকে মনপ্রাণ ঢেলে ভালবেসেছিলেন মিঠুন। কিন্তু সেই মেয়েটি তাঁর সঙ্গে মেলামেশা করার পর হঠাৎ একদিন ছেড়ে চলে গেলেন। প্রেমিকার প্রত্যাখ্যান মেনে নিয়েছিলেন মিঠুন। কিন্তু তাঁকে ভুলতে পারেননি।

যে অযোগ্যতার জন্য প্রেমিকা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন তাঁকে, হতাশায় ডুবে না গিয়ে, প্রত্যাখ্যানকেই হাতিয়ার করলেন। নিজেকে প্রমাণ করার তাগিদ তৈরি হয় সুপারস্টারের মধ্যে।

প্রথমে নামী অভিনেতা, তারপর স্টার, সুপারস্টার এবং আরও বড় সুপারস্টার হয়ে বাংলায় এবং মুম্বইয়ে দাপট শুরু হল মিঠুনের। 

আর সেই প্রেমিকা, যিনি মিঠুনের মনে আগুন ধরিয়ে হাতটা ছেড়েছিলেন, তার কী হল! পৃথিবীটা গোল এবং ছোট। সেখানে ছেড়ে যাওয়া মানুষের সম্মুখীনও হতে হয় কখনও-সখনও।

অনেকে আবার কর্মফলে বিশ্বাস করেন। ছেড়ে যাওয়া প্রেমিকার সঙ্গে হঠাৎ ফ্লাইটে দেখা মিঠুনের। প্রেমিকা লজ্জায় মুখ লুকোতে থাকেন। তাঁর জড়তা কাটানোর চেষ্টা করেন মিঠুন। 

অতবড় স্টার হয়ে নিজেই যান কথা বলতে। প্রেমিকা ক্ষমা চান মিঠুনের কাছে। সফল নায়ক বলেন, “তুমি সেদিন যদি আমাকে ছেড়ে না দিতে, আমি এখানে থাকতাম না।”