25 April, 2024

কলকাতার রাস্তায় রিকশা চালাচ্ছেন এই নায়িকা...

TV9 Bangla

credit: Social Media

অভিষেক বচ্চনকে বিয়ে করেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। সেই সালটা ছিল ২০০৭। বৈশাখ মাসে বিয়ে করেন তাঁরা। চার বছর পর, অর্থাৎ ২০১১ সালে আরাধ্যার জন্ম হয় ১৬ নভেম্বর। তারপর থেকে ঐশ্বর্যকে এমন একটি বিষয়ে কটাক্ষের শিকার হতে হয়, যা তিনি জীবনেও হননি। 

অপরূপা হওয়ার সুবাদে চিরকালই লাইমলাইটে থেকেছেন ঐশ্বর্য, সেই কিশোরী বয়স থেকেই। কিন্তু আরাধ্যার জন্মের পর যেন সেই আলোর উপর এসে পড়ে কটূকথার কালো ছায়া। ঐশ্বর্যর ওজন বেড়ে যায় তরতর করে। 

এবং একদা জ়িরো ফিগারের অধিকারী ঐশ্বর্য হয়ে ওঠেন ‘স্থূলকায়’ নারী। জানেন প্রেগন্যান্সির পর কত কিলো ওজন বেড়েছিল ঐশ্বর্যর?

তাও কম করে ২০ কিলো। আরাধ্যার জন্মের পর ২০ কিলো ওজন বৃদ্ধির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ পর্যন্ত সমালোচিত হতে হচ্ছে ঐশ্বর্যকে। গত বছরও প্যারিস ফ্যাশন উইকে হাঁটার সময় সেই সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হয়েছিলেন রাই সুন্দরী।

১৯৯৪ সালের বিশ্বসুন্দরী (মিস ওয়ার্ল্ড) প্রতিযোগিতায় ভারতীয় হিসেবে প্রথম বিজয়ী ঐশ্বর্য। লোকে বলে, তাঁর মতো সুন্দরী নাকি আতশ কাঁচ দিয়ে খুঁজলেও পাওয়া যাবে না। 

এই সৌন্দর্যের কারণে নাকি ঐশ্বর্যর দম্ভও দ্বিগুণ। ফলে শরীরের পরিবর্তনের কারণে যে মুহূর্তে কটাক্ষের মুখে পড়েছেন ঐশ্বর্য, বিষয়টি তাঁকে নানাভাবে মানসিক যন্ত্রণা দিয়েছে। 

এক সাক্ষাৎকারে ঐশ্বর্য নিজের সমস্ত হতাশাকে সরিয়ে রেখে অকপট বলেছিলেন, “আরাধ্যার জন্মের পর আমার শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক বিষয় ছিল। আমি বিষয়টিকে স্বাভাবিক ভাবেই গ্রহণ করে নিয়েছিলাম। আমি এরকমই মানুষ।"

বলেন, "সবকিছুকে গ্রহণ করতে পারি ছোট থেকেই। এটাই আমি। আমি যদি আমার শরীরের ওজন বৃদ্ধি নিয়ে অতিমাত্রায় ভাবিত হতাম, তা হলে সকলের সামনেই আসতাম না। নিজেকে গুঁটিয়ে নিয়ে লুকিয়ে রাখতাম। সেটা তো আমি কোনওদিনও করিনি। করেছি বলুন?”