১০ বছরের চ্যালেঞ্জটিকে খুবই গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। ৩০ বছর বয়সে পা দেওয়ার আগেই সাফল্য পেয়েছেন, সংসার পেয়েছেন এবং পেয়েছেন এক ফুটফুটে কন্যা সন্তানও।
কন্যা রাহার জন্মের পরই আমূল পাল্টে গিয়েছে আলিয়ার জীবন। পোস্ট পার্টাম ডিপ্রেশন একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সন্তানের জন্মের পর হাজার-হাজার মা এই মানসিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যান।
সন্তান জন্মের পর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলামেলা আলিয়া বলেছেন, “আমার খালি মনে হয় মায়ের সব দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করতে পারছি কি না। মানুষ আমাকে সঠিকভাবে গ্রহণ করছেন তো।”
এমনটা মনে হওয়ার সংযত কারণ আছে আলিয়ার। রাহার জন্মের পরপরই আলিয়াকে কাজে যুক্ত হতে হয়েছিল। করণ জোহরেরই পরিচালনায় তৈরি ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’ ছবির একটি গানের শুটিং পেন্ডিং বাকি ছিল।
কাশ্মীরে গিয়েছিলেন আলিয়া। সেই শুটিংয়ে একরত্তি রাহাকে নিয়ে গিয়েছিলেন আলিয়া। রাত জেগে তাঁকে নিজের বুকের দুধ খাইয়েছিলেন। একটা সময় নার্ভাস ব্রেকডাউনও হয়েছিল তাঁর। সেই সময় স্বামী অভিনেতা রণবীর কাপুর চলে আসেন কাশ্মীরে।
রাহার পুরো খেয়াল রাখেন আলিয়ার স্বামী। কেবল তাই নয়, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় হলিউড ছবি ‘হার্ট অফ স্টোন’-এর শুটিংও শেষ করেছিলেন। রাহা পেটে!
আলিয়া বলেছিলেন, “কেউ আমাকে সরাসরি কিছুই বলতেন না। কিন্তু আমার মনের মধ্যে অনেক প্রশ্ন উঁকি দিত। মা হিসেবে দায়িত্ববোধ নিয়ে নিজেই সন্দেহ প্রকাশ করতে শুরু করে দিয়েছিলাম আমি। মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সেই থেকেই আমি ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিই।”
আলিয়া বলেছেন, “প্রত্যেক সপ্তাহে আমি থেরাপি করাই। সেই থেরাপি সেশনে মন খুলে কথা বলি।” এই থেরাপি ক্লাসগুলি করতে-করতেই আলিয়া নিজের মনের উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে পেরেছেন।