শ্রীদেবীর স্বামী এবং অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুরের বাবা প্রযোজক বনি কাপুর একটা সময় প্রচুর স্ট্রাগেল করেছিলেন মুম্বইয়ে এসে। তিনি মুম্বইয়ের বাসিন্দা ছিলেন না।
বনির বাবা সুরিন্দর কাপুর থাকতেন দিল্লিতে। পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা বলতে কিছুই ছিল না। সুরিন্দর একে-এক দশটি চাকরি ছেড়েছিলেন। যে কোম্পানিতেই যুক্ত হতেন, সেখানেই যুক্ত হতেন শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে।
হয়ে উঠতেন আন্দোলনের প্রধান নেতা। প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা করার জন্য বারবার চাকরি খাওয়াতে হয়েছে জাহ্নবীর ঠাকুরদা সুরিন্দর কাপুরকে। আন্দোলনকারীদের সংসার হয় না–এমন একটি কথা প্রচলিত অনেকদিন থেকেই।
বাবার দুমদাম চাকরি ছেড়ে দেওয়ার জন্য প্রচুর ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিল বনি কাপুর এবং তাঁর ভাই অনিল কাপুরকে। একটা সময়ের পর বাবা তাঁকে পাঠিয়ে দেন পৃথ্বীরাজ কাপুরের কাছে। পৃথ্বীরাজ আসলে রাজ কাপুরের বাবা। অগত্যা বাবার পিছু-পিছু মুম্বই চলে আসেন বনি-অনিল।
সেই থেকে মুম্বই শহরে দুই ভাইয়ের স্ট্রাগল শুরু। অনিল অভিনেতা হবেন এবং বনি ছবি প্রযোজনা করবেন–এমন একটি স্বপ্ন দেখতে তারা ভরা আকাশ দেখতে-দেখতে।
এই প্রতিজ্ঞা দৃঢ় ছিল বলেই আজ বলিউডের অন্যতম সফল প্রযোজকদের মধ্যে একজন বনি এবং অভিনেতাদের মধ্যে অনিল কাপুর। রাজ কাপুরের স্টুডিয়োয় ঠাঁই হয়েছিল বনি-অনিলের। সেই সময় বাবা দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছিলেন তাঁদের।
ঠাকুমা গত হয়েছিলেন। বাবার হার্টের দুর্বলতা। নতুন মাকে তো বাড়ি ছাড়তে হবে। তাই নিজেদের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন বনি-অনিল। রাজ কাপুরের সার্ভেন্ট কোয়ার্টারে বেশ কয়েক বছর থেকেছিলেন এই দুই প্রতিভাবান ব্যক্তি।
ইতিহাস বড়ই আশ্চর্যের। কিন্তু অতীত ছাড়া তো বাঁচাও যায় না। এখন সাতমহলা বাড়িতে থাকেন বনি-অনিল দু’জনেই।
তারাভরা আকাশের নীচে শুয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন দুই ভাই, সব সত্যি হয়েছে। প্রচুর ধন-সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। কিন্তু শুরুর দিনগুলো কেটেছে এমনই কষ্টে।