১৯৭৩ সালের ১ নভেম্বর কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালোরে জন্মেছিলেন ভারতের প্রথম মিস ওয়ার্ল্ড ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। টুলু তাঁর মার্তৃভাষা। কিন্তু ছোট থেকেই হিন্দি এবং ইংরেজিতেও গড়গড়িয়ে কথা বলতে পারতেন।
লেখাপড়ায় খুবই মেধাবী ছিলেন ঐশ্বর্য। বাবা কৃষ্ণরাজ রাই ছিলেন সেনাবাহিনীর বায়োলজিস্ট। মা বৃন্দা রাই সামলাতেন বাড়ি। দুই সন্তান ঐশ্বর্য এবং আদিত্যর লালনপালনের দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধেই।
ইন্টারমিডিয়েট স্কুলিং করেছিলেন জয় হিন্দি কলেজ থেকে। পরবর্তীতে ভর্তি হয়েছিলেন মাতুঙ্গার ডিজি রুপারেল কলেজে। দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষায় ৯০ শতাংশ নম্বরও পেয়েছিলেন তিনি।
স্কুলে চিরটাকালই প্রথম স্থান দখল করতেন ঐশ্বর্য। দ্বিতীয় হয়েছিলেন সপ্তম শ্রেণিতে। সকলেই ভেবেছিলেন, বোর্ডের পরীক্ষায় স্ট্যান্ড করবেন ঐশ্বর্য। কিন্তু তা হয়নি। সপ্তম হয়েছিলেন বলে খুবই ভেঙে পড়েছিলেন।
এই ঐশ্বর্য কিন্তু হতে চেয়েছিলেন চিকিৎসক। বাবার মতো মেধাবী ছিলেন। কিন্তু তা হল না। কলেজে তাঁরই এক শিক্ষিকা মোড় ঘুরিয়ে দিলেন ঐশ্বর্যর। বরাবরই তাঁর সৌন্দর্যর জন্য ঐশ্বর্য সমাদৃত হতেন। তাঁর সেই শিক্ষিকার নজরে এসেছিল অভিনেত্রীর রূপ।
শ্রীদেবীর স্বামী এবং অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুরের বাবা প্রযোজক বনি কাপুর একটা সময় প্রচুর স্ট্রাগেল করেছিলেন মুম্বইয়ে এসে। তিনি মুম্বইয়ের বাসিন্দা ছিলেন না।
সেই শিক্ষিকা যুক্ত ছিলেন এক ম্যাগাজ়িনের সঙ্গে। সেই ম্যাগাজ়িনের জন্য ঐশ্বর্যকে ফটোশুট করতে বলেছিলেন। ব্যাস, সেই শুরু। অপরূপাকে দেখে সকলেই চমকে গেলেন। এত সুন্দরী কোথায় ছিলেন এতদিন।
পরপর আসতে থাকে মডেলিংয়ের অফার। সুযোগ আসে মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করারও। বাকিটা ইতিহাস। একবার এক সাক্ষাৎকারে ঐশ্বর্য স্বীকার করে নিয়েছিলেন, “আমরা সেই শিক্ষিকা যদি ওইদিন আমাকে ম্যাগাজ়িনে মডেলিং না করাতেন, ওসব কিছুই হত না আমার জীবনে।"
বলেন, "আজ আমি কোনও হাসপাতালে রোগীর সেবা করতাম। আমার বিশ্বাস সেটাও একটা দারুণ জীবন হত আমার।” ভাবুন! স্টেথোস্কোপ হাতে আপনার সামনে দাঁড়িয়ে রাই সুন্দরী…