বলিউড অভিনেত্রী মণীষা কৈরালার জীবনটা অনেকটা খোলা পাতার মতো। তাঁর জীবন সম্পর্কে অনেকেই অনেক কথাই জানেন। সম্প্রতি মণীষাকে দেখা গিয়েছে পরিচালক সঞ্জয় লীলা ভানসালীর তৈরি প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘হীরামাণ্ডি’তে।
তারপর থেকেই ফের চর্চায় মণীষা। অনেকেরই হয়তো অজানা যে, মণীষা কৈরালার প্রেমজীবন ছিল বেশ বর্ণময়। একজনকে নয়, একডজন লোককে ডেট করেছিলেন মণীষা।
তালিকা বিরাট লম্বা। তাঁদের মধ্যে শেষজনকে বিয়েও করেছিলেন অভিনেত্রী। যদিও সেই বিয়েটি শেষ পর্যন্ত টেকেনি। নানা পাটেকার থেকে শুরু করে বিবেক মুশরান, কার সঙ্গে প্রেম করেননি মণীষা। সবকটি সম্পর্কের কথা তিনি নিজে মুখে স্বীকারও করেননি।
কারও-কারও ক্ষেত্রে বলেছেন, “আমরা কেবলই বন্ধু”। এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয়–নানা পাটেকরের সঙ্গে ‘খামোশি’ ছবিতে বাবা-মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মণীষা। তারপর তাঁরই সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন।
মণীষা কৈরালার পরিবারের কেউই ফিল্ম জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তিনি রাজ পরিবারের মেয়ে। তাও আবার নেপালের রাজ পরিবার। পরিবারের প্রায় সক্কলেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সেই পরিবারেরই ডাকসাইটে সুন্দরী রাজকন্যা মণীষা।
জানেন মণীষার প্রেমিক-প্রেমিকার তালিকায় কারা-কারা ছিলেন। বিবেক মুশরান, নানা পাটেকার ছাড়াও মণীষার সঙ্গে সম্পর্কে নাম জড়িয়েছিল ডিজে হুসেন, সেসিল অ্যান্টনি, আরিয়ান বৈদ্য, প্রশান্ত চৌধুরী, ক্রিস্পিং কনরয়, তারিখ প্রেমজি।
সেই তালিকায় ছিলেন অক্ষয় (অক্ষয় কুমার নন), সন্দীপ চৌটা, ক্রিস্টোফার ডোরিস এবং অবশেষে সম্রাট দাহাল। এই সম্রাট ছিলেন নেপালেরই এক বিখ্যাত ব্যবসায়ী। তাঁকে প্রায় লুকিয়েই বিয়ে করেছিলেন মণীষা।
ব্যবসায়ীর সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয়েছিল অভিনেত্রীর। পূর্বরাগ ভালই জমে উঠেছিল। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই প্রচণ্ড সমস্যা তৈরি হয় বিয়েতে।
সম্রাটকেই জীবনের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে দাগিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী। ২০১২ সালে তাঁদের সম্পর্কের সমাপতন ঘটে। বিবাহবিচ্ছেদ হয়।