চিরকালই নানা কাজে ব্যস্ত থাকতেন অমিতাভ বচ্চন। ছবির শুটিংয়ে কখনও এ দেশ, কখনও ও দেশ, কখনও এ রাজ্য, কখনও ও রাজ্য থাকতে হয় তাঁকে । বাড়িতে সময় দিতে পারতেন না।
সন্তানদের প্রতিপালনের দায়িত্ব একার কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী অভিনেত্রী জয়া বচ্চন। দুই সন্তান অভিষেক এবং শ্বেতাকে আগলে বড় করেছিলেন জয়া। মোটেও প্রশ্রয় দেওয়া মা ছিলেন না তিনি।
শ্বেতা এবং অভিষেক যখন খুব ছোট, তখন তাঁদের গায়ে হাত তুলতেও দু’বার ভাবতেন না জয়া। তার উপর অভিষেক ছিলেন ভয়ানক দুরন্ত বাচ্চা। যত বয়স বাড়তে লাগে, অভিষেকের দুষ্টুমিও বাড়তে থাকে।
সকলেই জানেন, অমিতাভের সঙ্গে জয়ার চেহারাগত একটি বিরাট অমিল রয়েছে। অমিতাভ লম্বা মানুষ এবং তাঁর তুলনায় জয়া অনেকটাই খাটো। বাবা অমিতাভেরই ধারা পেয়েছে অভিষেক-শ্বেতা।
বয়ঃসন্ধি ছুঁতেই খুব তাড়াতাড়ি জয়ার উচ্চতাকে ছাপিয়ে গেলেন অভিষেক-শ্বেতা। দুষ্টুমি করলে তাঁদের নাগাল আর পেতেন না জয়া। ভয় দেখাতেন, বাবা এলেই সব দুষ্টুমির কথা বলে দেবেন।
আর ব্যাস! বাড়িতে অমিতাভের পা পড়তেই নালিশের ঝুড়ি নিয়ে তাঁর সামনে হাজির হতেন জয়া। এই কথাগুলি অভিষেক জানিয়েছেন, ‘কৌন বানেগা ক্রোড়পতি’তে।
বলেছেন, “আসলে বিষয়টা তা নয়। মা তো আমার থেকে অনেকটাই বেঁটে ছিলেন। আমার গালে চড় মারতে হলে তাঁকে টুলের উপর দাঁড়িয়ে মারতে হত। বাধ্য হয়েই বাবাকে গিয়ে নালিশগুলো করতেন।”