লোপামুদ্রা মিত্রকে সকলেই চেনেন। গায়িকা হিসেবে তাঁর জুড়ি নেই ইন্ডাস্ট্রিতে। দরাজ-কণ্ঠে গান গেয়ে চলেন ‘লোপা’। কিন্তু জানেন কী, এই লোপামুদ্রারই একটা সময় গায়িকা নয়, হওয়ার কথা ছিল পুলিশ অফিসার।
কোমরে পিস্তল এবং হাতে হ্যান্ডকাফ নিয়ে চোর-ছিন্নতাইবাজদের ধরার কথা ছিল। কিন্তু সেই স্বপ্নটা আজও অধরাই রয়ে গিয়েছে গায়িকার।
ছোটবেলা থেকেই গান নিয়ে নাড়াঘাঁটা চলতে থাকে লোপামুদ্রার। কিন্তু সেই সময় তিনি প্রতিষ্ঠিত গায়িকা হয়ে ওঠেননি। আর পাঁচজন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়ের মতো তিনিও চাকরির চেষ্টাই করছিলেন।
এক সাক্ষাৎকারে লোপামুদ্রা বলেছিলেন, “সরকারি চাকরি পাওয়ার চেষ্টা করছিলাম আমি। যে কোনও চাকরি পেলেই আমি করতাম। পুলিশের চাকরির চেষ্টা করেছিলাম প্রাণপণে। ব্যাঙ্কের চাকরি হলেও আমি সেটা করতামই। কিন্তু তারপরই আমার জীবনে যা হল…”
কী হল? লোপামুদ্রার মনে কড়া নাড়লেন বেণীমাধব। লোপামুদ্রার প্রেমিকা নাকি তিনি? এক্কেবারেই না। কবি জয় গোস্বামীর লেখা ‘মালতীবালা বালিকা বিদ্যালয়’ কবিতাটি গাইলেন লোপা।
এবং বাংলা জুড়ি হিল্লোল উঠল। সেই কবিতার প্রথম লাইন–‘বেণীমাধব, বেণীমাধব তোমার বাড়ি যাব…’ প্রথম লোপামুদ্রার কণ্ঠেই শোনেন সকলে। আর ব্যাস, তারপরই পুলিশটুলিশের চাকরির আর চেষ্টাই করলেন না লোপামুদ্রা।
লোপামুদ্রা বলেছেন, “আমার জীবনে বেণীমাধব আসলে আমার গান। সেটাই আমার প্রথম প্রেম। এই প্রেমের জন্য আমি সব ছাড়তে পারি।” কিন্তু সেই সঙ্গে দুঃখও প্রকাশ করেছিলেন গায়িকা।
বলেছিলেন, “এখন শ্রোতারা অনেকটাই পাল্টে গিয়েছেন। এখন আর আমার বেণীমাধবকে কেউ শুনতে চায় না…”