হিন্দি ছবির জগতের এক দুর্দান্ত অভিনেতা আশীষ বিদ্যার্থী। তিনি আবার অভিনেত্রী শকুন্তলা বড়ুয়ার প্রাক্তন জামাই। বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রীর কন্যা পিলুকে। ২০২২ সালে আশীষের সঙ্গে ডিভোর্স হয়েছিল পিলুর।
একাকী থাকবেন না আশীষ, তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তিনি দ্বিতীয় বিয়েটা করবেন। এদিক-ওদিক পাত্রীর সন্ধান চলতে থাকে। সেই সময় আশীষের বয়স ৫৭।
এই বয়সে এসে দ্বিতীয় বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিতেই নানা ধরনের কটাক্ষ শুনতে হয়েছিল আশীষকে। তবে তিনি মুষড়ে পড়েননি। জীবনকে দ্বিতীয় সুযোগ দিয়েছিলেন।
অভিনেতা মনে-প্রাণে এটাই বিশ্বাস করেন, জীবনে কোনও বিপর্যয় ঘটলে তা থেমে থাকে না। স্রোতস্বিনীর ন্যায় প্রবাহিত হতে থাকে।
প্রথম স্ত্রী পিলুর প্রতি আজও সম্মান এবং ভালবাসা রয়েছে আশীষের। ২২ বছরের দাম্পত্যের এটাই আসল রসদ। যে কারণেই ছাড়াছাড়ি হোক, একদা স্ত্রীর প্রতি সম্মান যাতে অটুট থাকে, বিষয়টি নিয়ে বিশেষ স্পর্শকাতর অভিনেতা।
২০২৩ সালে অসমীয়া রুপালি বড়ুয়াকে বিয়ে করলেন আশীষ। দ্বিতীয় বিয়ে করেই ঘটে গেল বিপত্তি। আশীষকে শুনতে হল, “ছেলে অর্থের বিয়ের বয়স হয়েছে, আর এই বয়সে আপনি বিয়ে করছেন।”
আরও অশ্রাব্য ভাষায় আক্রমণ করা হয়ে আশীষকে, যা এই প্রতিবেদনে লেখার অযোগ্য। আশীষ বলেছেন, “আমি মনে করি, একটা সম্পর্ক শেষ হলে সেটাই জীবনের গতি স্থির করে না।"
আশীষ মনে করেন জীবন প্রবাহমান। ফলে তিনি আবারও বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।” আশীষের দ্বিতীয় স্ত্রী রুপালি বলেন, "আমরা কিন্তু ভাল আছি। আশীষ খুবই ভাল একজন মানুষ।"