বলিউড অভিনেত্রী অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে ছোটে নবাব সইফ আলি খানের বিবাহবিচ্ছেদের কারণ নাকি ছিলেন সইফের মা শর্মিলা ঠাকুর। এমনটাই মনে করেন নেটিজ়েনদের অনেকে।
কিন্তু কেন শর্মিলা ঠাকুরকেই এই বিয়ে ভাঙনের কারণ হিসেবে মনে করা হয় জানেন? মাত্র ২১ বছর বয়সে, বয়সে অনেকটাই বড় অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন সইফ আলি খান। সেই অভিনেত্রীর নাম অমৃতা সিং।
বলিউডে নিজের কেরিয়ার শুরু করার আগেই অভিনেত্রী অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় সইফের। অমৃতার তখন ৩৩ বছর বয়স। সেই সময় সইফ-অমৃতা এতটাই নিমজ্জিত ছিলেন প্রেমে যে, বয়সের ব্যবধান তাঁদের নজরেই আসেনি।
পরিবারের অমতে গিয়ে করেছিলেন সইফ। বাবা-মাকে কিছু না জানিয়েই অমৃতাকে বিয়ে করে ফেলেছিলেন তিনি। ছেলের এই হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তকে নাকি মন থেকে কিছুতেই মেনে নিতে পারতেন না শর্মিলা।
তিনি মেনে নিতে পারতেন না ছেলের প্রায় দ্বিগুণ বয়সি বউমা অমৃতাকেও। ফলে গুজব রটে, শাশুড়ি শর্মিলার কারণেই নাকি পতৌদি প্যালেসে থাকা এক প্রকার দুঃসহ হয়ে ওঠে অমৃতার কাছে।
এই রটনাগুলো কি সত্যি? সত্যিই কি শর্মিলার কারণেই সইফের সঙ্গে বিয়েটা ভেঙেছিল অমৃতার। এতগুলো বছর পর সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সইফ-অমৃতার কন্যা অভিনেত্রী সারা আলি খান।
ঠাকুমা শর্মিলা ঠাকুরের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক সারা আলি খানের। ঠাকুমাকে ‘বাড়ি আম্মা’ বলে ডাকেন তিনি। বাবা সইফ এবং মা অমৃতার সম্পর্ক ভাঙনের কারণ হিসেবে মোটেও সারা দায়ী করেন না তাঁর ঠাকুমাকে।
দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে অমৃতার সঙ্গে সংসার করছেন সইফ। একটা সময় পর সেই সম্পর্কের মাধুর্য্য হারিয়ে গিয়েছিল তাঁদের। সম্পর্কটা ভেঙেছিল সারার।
তিনি জানিয়েছিলেন, বাবা-মায়ের সম্পর্ক ভাঙার পর তাঁর ঠাকুমা শর্মিলা ঠাকুরই সেই সময় তাঁর এবং তাঁর মায়ের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন বিপদে-আপদে।
কোনও কিছুর অভাব জানলেই শর্মিলা ছুট্টে যেতেন অমৃতা, সারা এবং ইব্রাহিমের কাছে। ফলে ঠাকুমাকে বাবা-মায়ের বিয়ের ভাঙার কারণ হিসেবে কিছুতেই দাগিয়ে দিতে পারেন না সারা। বরং তিনি কৃতজ্ঞ।