প্রত্যেক বাবা-মায়ের মধ্যে একজন থাকেন, যিনি সন্তানকে আড়াল করার চেষ্টা করেন। অভিনেত্রী এশা দেওয়ালের ক্ষেত্রে সেই মানুষটি ছিলেন তাঁর বাবা ধর্মেন্দ্র।
মেয়েকে খানিকটা অদৃশ্য শৃঙ্খল পরিয়ে রেখেছিলেন তিনি। আর সেই সময়ই ডানা মেলে উড়তে চেয়েছিলেন এশা। ফলে একটা অন্তর্দ্বন্দ্ব চলছি বাবা-মায়েতে।
ধর্মেন্দ্রর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ শুরু করেন এশা। এক সাক্ষাৎকারে সেই কথা সাফ জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
যে সময় এশার কেরিয়ার শুরু হয়, ধর্মেন্দ্র তাঁকে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনয় করতে মানা করেন। এশা বলেছিলেন, “বাবা চাইতেন পরিবারের মেয়েদের প্রাইভেট করে রাখতে। কিন্তু আমি মানিনি সেই আদেশ।"
"বাড়ির মেয়েদের দুনিয়ার সামনে মেলে ধরতে চাইতেন না বাবা," বলেন এশা। বলেন, "আমি বাবার কথা শুনিনি। নিজের মনের ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিয়েছি। অভিনয় করার সিদ্ধান্ত ছিল আমার একান্ত একার।"
শেষমেশ ফিল্ম জগতে পা রাখলেন এশা। জানান, মেয়ের এই সিদ্ধান্ত দেখে ধর্মেন্দ্র তাঁকে বাধা দেননি।
এশাকে ব্রেক দিয়েছিলেন শ্রীদেবীর স্বামী ও জাহ্নবী কাপুরের বাবা পরিচালক বনি কাপুর। এশাকে চিত্রনাট্য পড়িয়েছিলেন তিনিই। সেই ছবির নাম ছিল ‘কই মেরে দিল সে পুছে’।
একই সময় অভিনেত্রীর ‘না তুম জানো না হম’ ছবির চিত্রনাট্য ভাল লেগেছিল। একসঙ্গে দু’টি ছবিতে কাজ করেন এশা। ‘কই মেরে দিল সে পুছে’ আগে মুক্তি পায়। সেটিই এশার ডেবিউ ছবি।