বাবা-মা না থাকলে কী হবে, ছোটবেলায় এমনটা নিশ্চয়ই মনে হয়েছে অনেকের। সেই ভয় রীতিমতো তাড়া করে বেড়াত অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুরকে। তাঁর বারে-বারে মনে হত বাবা-মা এই পৃথিবীতে না থাকলে তাঁর কী হবে।
সেই ভয় থেকেই জাহ্নবী রোজ রাতে উঠে ছুটে চলে যেতেন বাবা-মায়ের শোয়ার ঘরে। বেডরুমের দরজা খুলে তাঁদের সামনে দাঁড়াতেন এবং মা শ্রীদেবী এবং বাবা বনি কাপুরের নাকের কাছে হাত রেখে দেখতেন, তাঁরা নিঃশ্বাস নিচ্ছেন কি না।
তারপর যখন দেখতেন, তাঁরা নিঃশ্বাস নিচ্ছেন, আবার গুঁটি-গুঁটি পায়ে নিজের বেডরুমে চলে যেতেন জাহ্নবী। এক সাক্ষাৎকারে জাহ্নবী নিজেই এই কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন।
অভিনেত্রী বলেছিলেন, “আমি আমার বাবা-মাকে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালবাসি। আপনারা ভাবতেই পারবেন না, আমি ছোটবেলায় কী করতাম। রাতে ঘুমোতে পারতাম না আমি।"
বলেন, "খালি মনে হত, ঘুমের মধ্যেই যদি বাবা-মা আমাকে ছেড়ে চলে যান। তাই মাঝরাতে ঘুম থেকে উঠে তাঁদের বেডরুমে চলে গিয়ে দেখে আসতাম তাঁরা বেঁচে আছেন কি না। স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস নিচ্ছেন কি না। আস্বস্ত হয়ে আবার নিজের ঘরে চলে আসতাম আমি।”
কারওর বাবা-মা সারাজীবন সত্যিই থাকেন না। যে ভয়টি তাড়া করে বেড়াত ছোট্ট জাহ্নবীকে, তার মুখোমুখি হলেন বড় হতেই। দুবাইয়ের পাঁচতারা হোটেলে বাথটাব থেকে উদ্ধার হল শ্রীদেবীর মৃতদেহ।
মাকে অকালেই হারিয়েছেন জাহ্নবী। তাঁর প্রথম ছবি ‘ধড়ক’ মুক্তির আগেই চলে গিয়েছেন শ্রীদেবী। মাকে হারিয়ে দীর্ঘদিন শোকে পাথর হয়ে ছিলেন জাহ্নবী।
এখন বাবাকেই আঁকড়ে ধরেছেন পুরোপুরি। বাবার সবকিছু এখন তাঁর নখদর্পণে।