‘হাম দিল দে চুকে সনম’– বহু বছর আগে মুক্তি পেয়েছে এই ছবি। পরিচালক সঞ্জয় লীলা ভনসালীর বয়সও তখন অল্প। ছবিতে ঐশ্বর্য রাই বচ্চন এবং সলমন খানকে নায়ক-নায়িকা জুটি হিসেবে কাজ করেছিলেন সঞ্জয়।
ঐশ্বর্যর স্বামীর চরিত্রে কাস্ট করা হয়েছিল অজয় দেবগণকে।। এক নিদারুণ ত্রিকোণ প্রেমের কাহিনি ব্যক্ত করেছিল এই ছবি। এবং এই ছবির শুটিং চলাকালীনই কাছাকাছি এসেছিলেন সলমন এবং ঐশ্বর্য।
এই ছবি শেষ হওয়ার পর প্রেম শুরু হয় সলমন-ঐশ্বর্যর। ছবির কিছু টুকরো স্মৃতি শেয়ার করেছেন স্মিতা জয়কার। ছবিতে স্মিতাকে দেখা গিয়েছিল ঐশ্বর্যর মায়ের চরিত্রে। সলমন-ঐশ্বর্য সম্পর্কে বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস করেন স্মিতা।
স্মিতা বলেছিলেন, “ছবিটি যখন মুক্তি পায়, তখন শুরুর দিকে তা ফ্লপ বলেছিল। কিন্তু আস্তে-আস্তে যা ঘটল, তা এককথায় ইতিহাস। ব্লকবাস্টার ছবির খাতায় নাম তুলল ‘হাম দিল দে চুকে সনম’। এই ছবির শুটিং করতে অনেক সময় লেগেছিল।"
হাসতে-হাসতে বলেন, "আপনাদের একটা মজার ঘটনা বলতে পারি। ‘ধিল দে দে রে ভাইয়া’ গানটির শুটিং চলছিল। এই ছবির শুটিংয়ের সময় আমাদের সকলকে সেটে যেতে হত ভোর ৫টায়।"
বলেন, "৭টা থেকে ছিল কল টাইম। সন্ধ্যার পর শুটিং হত না, কারণ সূর্যাস্তের পর এই গানের শুটিং করার কথা নয়। আমরা মোটামুটি সকলেই সকাল ৭টার মধ্যে সেটে হাজির থাকতাম।"
স্মিতা জানিয়েছিলেন, ছবির নায়িকা ঐশ্বর্য এবং নায়ক সলমন দেরি করে আসতেন। তাঁদের দেরি দেখে সকলেই অপেক্ষা করতেন।
সলমন-ঐশ্বর্য দু’জনেই বলতেন তাঁরা নাকি মেকআপ করছেন। অনেকক্ষণ ধরেই চলত তাঁদের মেকআপ । আর সেটের সকলে বাইরে বসে গান গাইতেন।