ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। লেখাপড়ায় অসম্ভব ভাল ছিলেন তিনি। স্কুলজীবনে কোনওদিনও প্রথম ছাড়া দ্বিতীয় স্থানে অবতীর্ণ হননি। চিরকালই ফার্স্ট গার্ল ছিলেন অভিনেত্রী। ডাক্তার হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
পরিবারের সকলেই পড়ায় ভাল। বাবা বায়োলজিস্ট। দাদা মেরিন ইঞ্জিনিয়ার। ঐশ্বর্যরও পড়াশোনা নিয়েই থাকার কথা ছিল। গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে থাকার কথাই ছিল না। কিন্তু ঐশ্বর্যের অন্য প্ল্যানিং ছিল তাঁকে নিয়ে।
ঐশ্বর্যরই এক শিক্ষিকা একটি ম্যাগাজ়িনে তাঁকে দিয়ে মডেলিং করালেন। এবং তারপরই জীবনটা পাল্টে গেল বিশ্বসুন্দরীর। মডেলিং থেকে মিস ওয়ার্ল্ড, তারপর অভিনয়–ঐশ্বর্যর উত্থান মনে রাখার মতো।
তবে যশ-খ্যাতি-প্রতিপত্তি মানুষ ঐশ্বর্যকে কোনওদিনও পাল্টাতে পারেননি। বিশেষ করে তাঁর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। ঐশ্বর্যকে ছোট থেকেই ভালবাসতেন তাঁর শিক্ষিকারা। হীরের মতো চকচকে দুটি চোখ নিয়ে অভিনেত্রী নানা কিছু জিজ্ঞাসা করতেন তাঁদের।
তেমনই একটি ঘটনার কথা বর্ণনা করেছিলেন ঐশ্বর্যর এক টিচার। তাঁরা নাম লাতাকা। তিনি বলেছিলেন, “ঐশ্বর্য আমার অত্যন্ত প্রিয় ছাত্রী। হীরের মতো চোখ নিয়ে আমার কাছে এসে কাঁদত।"
আরও বলেন, "কেন ও পারছে না বাকিদের মতো, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ত। বলেছিল, ‘আমার এটা হচ্ছে না, আপনি আমাকে আমাকে প্লিজ় দেখিয়ে দিন’। আমি দেখতে পাই ওর চোখ থেকে অশ্রুধারা বেয়ে আসছে।”
ঐশ্বর্যর লাতাকা ম্যাম আরও বলেছিলেন, “লোকে হীরের নাম রাখে নক্ষত্র। আমি সেই নক্ষত্র দেখেছি ঐশ্বর্য দুটো চোখে। এমন চোখ আমি দেখিনি আগে।”
সত্যি বলতে কী, ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের চোখ নিয়ে চর্চা বহুদিনের। এটি নাকি বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর চোখ। ঐশ্বর্য আবার তাঁর চোখ দুটি দান করেছেন।
সম্প্রতি কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে গিয়েছিলেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। হাতে প্লাস্টার নিয়েই তাঁকে কানের লাল গালিচায় হাঁটতে দেখা যায়। সঙ্গে গিয়েছিলেন ঐশ্বর্যর কন্যা আরাধ্যা বচ্চনও।