শাহরুখ খান। বলিউডের অন্যতম তারকা। কেবল তারকা না বলে তাঁকে কিংবদন্তি বলাই ভাল। বিগত সাড়ে তিন দশক ধরে বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে তাঁর কাজের দ্বারা সমৃদ্ধ করছেন শাহরুখ খান। দিল্লিতে জন্মেছেন। সেখানেই বড় হয়েছেন।
নিজের জন্মভূমি ছেড়ে পরের রাজ্যে (পড়ুন মুম্বই) এসে সেখানকার বাদশাহ হয়ে ওঠেন শাহরুখ। যে মেয়েটিকে স্কুলজীবন থেকে ভালবেসেছিলেন তাঁকে পরবর্তীতে বিয়ে করে সংসারী হয়েছেন। তিন সন্তান রয়েছে শাহরুখের–আরিয়ান, সুহানা এবং আব্রাম। ৭০০ কোটি টাকার বাড়িতে থাকেন। সাগর পাড়ের বুকেই রয়েছে তাঁর মন্নত।
কিন্তু এই শাহরুখের শুরুর দিকে কিসসু ছিল না। নিজের স্বপ্নকে সফল করতে সম্পূর্ণ খালি হাতে মুম্বইয়ে এসেছিলেন কিং খান। প্রথমে ‘ফৌজি’, ‘সার্কাস’-এর মতো সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন।
এক সমকামীর চরিত্রেও অভিনয় করেছিলেন এক ছবিতে। তারপর সুযোগ আসে বড় পর্দায়। চকলেট বয়তে ঘেরা বলিউডে শাহরুখ আবির্ভূত হয়েছিলেন এক ভিলেন ধাঁচের নায়কের চরিত্রে। ‘বাজিগর’, ‘ডর’-এ তিনি নায়ক হয়েও ছবিতে সম্পূর্ণ ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
সেই দুটি চরিত্রে অভিনয় করার পর নিজের জাত চিনিয়েছিলেন শাহরুখ। তারপর ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’, ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’-এর তো ছবিতে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে এক রোম্যান্টিক হিরোর চরিত্রে প্রতিষ্ঠিত করেন শাহরুখ। হয়ে ওঠেন হিন্দি ছবির পোস্টার বয়।
এই শাহরুখ এক সাক্ষাৎকারে একবার বলেছিলেন, কোনও কিছুর প্রতি তাঁর আসক্তি নেই, বলেছিলেন, “কোন কিছুর প্রতি আমার অ্যাটাচমেন্ট নেই। আমি অ্যাটাচমেন্টকে ভয় পাই। খালি মনে হয় সেই মানুষটা যদি আমাকে ছেড়ে চলে যায়, তা হলে আমি খুব কষ্ট পাব।"
বলেন, "যন্ত্রণা ভোগ করব। আমি তখনই দুঃখ পাই যখন দেখি আমার জীবনে কেউ মারা গিয়েছেন কিংবা আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। কেন না, তাঁদের আমার প্রতি আর কোনও টানই নেই।”
শাহরুখের মুখে এই কথা শোনার পর স্বাভাবিকভাবেই মনে প্রশ্ন জাগতে পারে তা হলে কি গৌরী এবং তাঁর তিন সন্তানের প্রতিও একই মত শাহরুখের। কোনও অ্যাটাচমেন্ট নেই তাঁদের প্রতিও? উত্তর জানেন কেবল শাহরুখই।