কর্ণাটকের মেয়ে দীপিকা পাডুকোন। বড় হয়েছেন বেঙ্গালুরুতে। দীপিকার বাবা আন্তর্জাতিক মানের ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়। তিনি প্রকাশ পাড়ুকোন। বাবার থেকেই খেলাটা শিখেছিলেন দীপিকা।
অভিনেত্রী না হলে ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়ই হতেন নায়িকা। কিন্তু হঠাৎ মডেলিং এবং তারপর অভিনয়ে চলে আসেন এই সুন্দরী ডিভা। একসময় দীপিকার ব্যক্তিগত জীবনও ছিল বেশ রঙে ভরা। রণবীর কাপুর, সিদ্ধার্থ মালিয়ার মতো বড়সড় ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন দীপিকা।
পরবর্তীতে বিয়ে করেন সহ-অভিনেতা রণবীর সিংকে। এখন তাঁদের দাম্পত্যে এসেছে নতুন মোড়। মা হতে চলেছেন দীপিকা। আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই ভূমিষ্ঠ হবে তাঁদের সন্তান। কিন্তু জানেন কি, বাইরের থেকে চাকচিক্যে মোড়া হলেও দীপিকা পাড়ুকোন আসলে ভীষণ সাধারণ একজন মানুষ।
দীপিকা পাড়ুকোনের মধ্যে রয়েছে সহজাত পরিষ্কার-পরিষ্কার বাতিক। তিনি খানিক শুচিবাইগ্রস্ত। সারাক্ষণই এটা সেটা মোছামুছি করেন। কোনও পাঁচতারা কিংবা সাততারা হোটেলে থাকতে গেলেও আসবাবপত্র ওলট-পালট করেন। নিজের মনের মতো সাজিয়ে নেন সেই ঘর। তা না হলে তাঁর নাকি মনই টেকে না।
সেখানে দীপিকা পাড়ুকোনের বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনদের আনাগোনা লেগেই থাকে। বিয়ের আগে যখন বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন, তখন আজ এই কাকিমা, কাল সেই পিসিমা আসতেন।
আত্মীয়-স্বজন সংখ্যা বাড়লে ঘরে শোয়ার ব্যবস্থাও থাকত না। অগত্যা, দীপিকাকেই ব্যবস্থা নিতে হত। তিনি ছেড়ে দিতেন নিজের ঘর। সোজা চলে আসতেন ডাইনিং রুমে। মাটিতে বিছানা করে ফেলতেন।
এত বড় বলিউড তারকা, কিন্তু মাটিতে শুতেন। আত্মীয়-স্বজনেরাও লজ্জায় পড়ে যেতেন। দীপিকা তাঁদের বোঝাতেন ‘অতিথিই নারায়ণ’। অতিথি এলে মাটিতেই শুতে হয়। তাই তাঁদের জন্য ছেড়ে দিতেন বিছানাটুকুও।