‘সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে’। এই বাংলা ধারাবাহিকে অভিনয় করে দু’টি মন এক হয়েছিল। পর্দায় স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করতে-করতে একে-অপরকে মন দেওয়া-নেওয়ার পর্ব সেরে ফেলেছিলেন উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক (তখন বিধায়ক ছিলেন না) কাঞ্চন মল্লিক এবং অভিনেত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়।
পিঙ্কির কথা অনুযায়ী, সেই সময় কাঞ্চনের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল তাঁর প্রথম স্ত্রী অনিন্দিতা দাসের। একাকী কাঞ্চন শুটিংয়ের ফাঁকে লাঞ্চের সময়ে খাবার না-খেয়ে সিগারেট খেতেন ঘনঘন।
ধমকের সুরে পিঙ্কি এগিয়ে গিয়ে কাঞ্চনকে বলেছিলেন, “এ কী, আপনি খাবার না খেয়ে এগুলো কী খাচ্ছেন ছাইপাস!” সিনিয়র অভিনেতারা সে দিন পিঙ্কিকে বলেছিলেন, “তোর চেয়ে এত বড়, এ তুই কী বললি ভাই!”
পিঙ্কি জানিয়েছিলেন, সোজাসাপ্টা কথা বলেন তিনি; উচিত কথা বলতে কুণ্ঠিত নন মোটেই। পিঙ্কির এই নির্ভীক মনটাকেই নাকি ভালবেসেছিলেন কাঞ্চন। বলেছিলেন, “চলো, নতুন করে শুরু করি।” শুরু করেন কাঞ্চন-পিঙ্কি। বিয়ে করলেন।
সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে… এই প্রবাদ বাক্যটাই ছিল পিঙ্কির স্বপ্নে। তবে যে ঘর বাঁধতে চেয়েছিলেন, তা শেষমেশ পারেননি। তাঁর সংসার সুখের হয়নি।
অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টোরাজের সঙ্গে স্বামীর ‘পরকীয়া’ ধরে ফেলেন করোনার সময়। পুত্র ওশ-ও সবটা জানে। সেই নিয়ে কম ঝামেলাও হয়নি কাঞ্চন-পিঙ্কির মাঝে।
পিঙ্কি বলেন, “সব স্ত্রীর মধ্যেই লুকিয়ে থাকে এক গোয়েন্দা। আমিও তাই ধরে ফেলেছিলাম।” পরবর্তীকালে ডিভোর্স হয় তাঁদের। TV9 জিজ্ঞেস করে কতটাকা কাঞ্চন খোরপোশ দেয় তাঁকে?
উত্তরে পিঙ্কি বলেছিলেন, "আসলে অনেক ভুল তথ্য ছড়িয়েছে এটা নিয়ে। আমি আপনাকে বলছি, ডিভোর্সে আমি ৫৬ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছি কাঞ্চনের থেকে। পুরোটাই ওশের প্রতিপালনের জন্য ব্যবহৃত হবে। ও টাকা আমার নয়।"