৬১ বছর বয়সে মানুষের জীবনে অনেক কিছু পাল্টে যায় ঠিকই। আগের মতো আর তেমন তরতাজা লাগে না। শরীরটা চলতে চায় না। অনেক বেশি বিশ্রাম চায় কাহিল দেহ। কিন্তু কলকাতায় এমন এক ব্যক্তি আছেন, যিনি বয়সের তোয়াক্কা করেন না কখনওই।
তিনি অনেকটা পুরনো ওয়াইনের মতো হয়ে গিয়েছেন। নতুন বোতলে তাঁকে ঢাললেই তরুণ হয়ে ওঠেন। যতদিন যাচ্ছে, তাঁর রূপ যেন খুলছে দ্বিগুণ। তারুণ্য যেন তাঁর কাছে বন্দি। সেই ব্যক্তির নাম প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
একটি চরিত্রের জন্য এই ৬১ বছর বয়সেও নিজেকে আমল পাল্টে ফেলেছেন বুম্বাদা (ইন্ডাস্ট্রি এই নামেই চেনে তাঁকে)। বিগত এক বছর ধরে চলেছে সেই অনুশীলন।
জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্রর পরিচালনায় তৈরি ‘দেবী চৌধুরানী’ ছবিতে ভবানী পাঠকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ, সেই ভবানী পাঠক, যাঁর প্রশিক্ষণে তৈরি হয়েছিল দেবী চৌধুরানী। ছবিতে দেবী চৌধুরানীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়।
ছবিতে পুরোদমে অ্যাকশন করতে দেখা যাবে শ্রাবন্তী এবং প্রসেনজিৎকে। এর জন্য শ্রাবন্তীকে অনেক কিছু শিখতে হয়েছে। লাঠি ফাইট, তলোয়ার চালানো, মার্শাল আর্টস শিখতে হয়েছে। কেবল শ্রাবন্তীকে নয়, ৬১ বছর বয়সি প্রসেনজিৎকেও শিখতে হয়েছে এই সব কিছুই।
প্রসেনজিৎ বলেছেন, “বিগত এক বছর ধরে আমার অনুশীলন চলেছে জোরকদমে। তলোয়ার চালানো শিখেছি। লাঠি দিয়ে কীভাবে মারামারি করা হত, সেটাও শিখেছি।"
বলেন, "ভবানী পাঠকের তো কোনও ছবি নেই। কিছু স্কেচ আছে। বলা হত মানুষটার নাকি ৬ ফিট উচ্চতা ছিল, চোখ লাল ছিল। তবে আমরা আমাদের মতো করে ভবানী পাঠকের চেহারা তৈরি করেছি এই ছবির জন্য।”