বাংলা সাংস্কৃতিক জগৎকে সমৃদ্ধ করেছে ঠাকুর পরিবার। সেই পরিবারের প্রদীপ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর অবদান চিরটাকাল মনে রেখে দেবে দুনিয়াবাসী
বাংলার গণ্ডি, ভারতের গণ্ডি টপকে সারা বিশ্বকে উদ্বুদ্ধ করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর লেখা গান, কবিতা, গল্প, উপন্যাসকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছেন হাজার-হাজার মানুষ।
তিনি এশিয়া মহাদেশের প্রথম নোবলজয়ী। তিনি প্রতিবাদীও। ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যা কাণ্ডের প্রতিবাদে ব্রিটিশ সরকারকে ফিরিয়েছিলেন নাইট উপাধী।
ব্রাহ্মণ থাকাকালীন এক প্রাণীর মাংসের গন্ধ শুঁকেছিলেন পরিবারের চার ভাই। তাঁদের সমাজ একঘরে করে দিয়ে সেই ‘অপরাধ’-এ। সেই সময় ঠাকুর পরিবারের পদবী ঠাকুর ছিল না। ছিল কুশারী।
রবীন্দ্রনাথের পদবী তা হলে ছিল রবীন্দ্রনাথ কুশারী। একঘরে হয়ে গিয়েছিলেন ঠাকুর, থুড়ি কুশারী বংশের চার জমিদার ভাই রতিদেব কুশারী, কামদেব কুশারী, শুকদেব কুশারী এবং জয়দেব কুশারী।
তাঁদের চলে আসতে হয় সুন্দরবনে। এই কুশারীরা দরিদ্রসেবা করতেন খুব। সুন্দরবনের গোবিন্দপুরের গরিবদের অনেক কিছু দান করেছিলেন এবং হয়ে উঠেছিলেন এলাকার ত্রাতা, ঈশ্বর।
তাঁদের সকলে ‘ঠাকুর’ সম্বোধন করতেন। সেই ঠাকুরকেই পরবর্তীকালে পদবী হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেন রবীন্দ্রনাথের পূর্বপুরুষেরা।