ইনস্টাগ্রামে সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ৪.০৪ মিলিয়ান (এই প্রতিবেদনটি লেখার সময় এটাই ছিল সংখ্যা – ৪০ লাখেরও বেশি)। ইনস্টাগ্রামে তাঁকে ফলো করেন ২ মিলিয়ান (২০ লাখ) অনুগামী।
এই ব্যক্তি আর কেউ নন, ‘দ্যা বং গাই’, অর্থাৎ কিরণ দত্ত। তিনি হলেন বাংলার সবচেয়ে জনপ্রিয় ইউটিউবার। যিনি এটা প্রমাণ করে দিয়েছিলেন, ছকের বাইরে হেঁটেও সফল হওয়া যায়।
অনেকটা তাঁর সাফল্যকে অনুসরণ করেই আগামীর ছেলেমেয়েরা ইউটিউবে ভিডিয়ো তৈরি করে পোস্ট করছেন। তৈরি করছেন চ্যানেল। ইউটিউবকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
কিন্তু এর কুফলও তৈরি হয়েছে। যে যা পেরেছেন তৈরি করে ফেসবুকে ছেড়েছেন। তা দেখে দ্যা বং গাই খেপেওছেন। বলেছেন, “একটা শৈল্পিক দিক থাকা দরকার।”
ইঞ্জিনিয়রিং পাশ করা কিরণ দত্তের কেরিয়ার অন্য রকমই হত। তিনিও হয়তো আর পাঁচজন আইটি সেক্টরে কর্মরত ছেলেমেয়ের মতোই ক্লায়েল্ট বেসড চাকরি করতেন। কিন্তু না, সেটা হল না।
ছেলে ভিডিয়ো তৈরি করছে। ক্যামেরার পজ়িশন বুঝতে পারছে না। দরজার আড়াল থেকে দেখতেন তাঁর মা। তারপর নিজেই এগিয়ে এসে ছেলের হাতটা ধরেন শক্ত করে।
TV9 বাংলা ডিজিটালকে কিরণ বলেছিলেন, “আমার মা ছিলেন আমার প্রথম ক্যামেরাপার্সন। তখন ভিডিয়ো বানানো শুরু করেছি মাত্র। জার্ক যাতে না হয়, মা-ই একদিন বলল, ক্যামেরাটা ধরে দেবে।"
কিরণ আরও বলেন, "আমিও না করলাম না। ‘দ্যা বং গাই’-এ আপলোড হওয়া বহ-বহু ভিডিয়োর ক্যামেরাটা ধরেছিলেন আমার মা-ই।”