অনেকে মনে করেন তাঁকে দেখতে হুবহু হৃত্বিক রোশনের মতো। তাঁকে অবলীলায় বাংলার হৃত্বিক রোশন বলে ডাকা হয় ইন্ডাস্ট্রিতে। পশ্চিমবঙ্গের মফস্বলের ছেলে সঈদ আরেফিন হতে চেয়েছিলেন বড়পর্দার বড় নায়ক। মুম্বই তাঁর টার্গেট।
এই মুহূর্তে তাঁকে দেখা যাচ্ছে ‘যোগমায়া’ ধারাবাহিকে। আরেফিনের জীবনযুদ্ধ হার মানাবে সিনেমার চিত্রনাট্যকেও। কেমন ছিল সেই জার্নি, জানেন? ছোটবেলায় নাকি ঠিকমতো কথা বলতে পারতেন না আরেফিন। পরিবারের সকলে ভেবে নিয়েছিলেন তিনি কোনওদিনই কথা বলতে পারবেন না।
তাঁর মা তাঁকে নিয়ে চলে গিয়েছিলেন চিকিৎসকের কাছে। অনেক কষ্টে কথা বলতে শিখেছিলেন অভিনেতা। চিরকালই দেখতে ভাল আরেফিন। মফস্বলের লোকেরাই বলত, আরেফিন বড় নায়ক হবেন। কিন্তু পরিবারের অমতেই অভিনয় পেশায় আসেন আরেফিন। সে এক সংগ্রাম!
কলকাতাতে তাঁর কোনও কাছের মানুষই ছিলেন না। এত বড় শহরটায় একাই শুরু করেন স্ক্র্যাচ থেকে। বহু ঘাত-প্রতিঘাত অতিক্রম করেছেন তিনি। তারপর স্নেহাশিস চক্রবর্তীর সিরিয়ালে অভিনয়ের সুযোগ আসে। এই মানুষটাকে ভগবানের মতো মানেন আরেফিন।
এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেছেন, “জানেন কি আমি ছোটবেলায় ঠিক মতো কথা বলতে পারতাম না। খুব অসুবিধা হত কথা বলতে। বাড়ির লোকজন ভেবেছিল আমি কোনওদিনও কথা বলব না। তবে মা জানতেন, একদিন আমার মুখে বলি ফুটবেই। আল্লাহ মায়ের ইচ্ছা পূরণ করেছেন। একটা সময়ের পর আমি সত্যিই কথা বলতে শুরু করি।”
তবে কোনওদিনই খুব বেশি বন্ধু তৈরি হয়নি আরেফিনের। তিনি বিশ্বাস করেন, জীবনে একটা-দুটোই বন্ধু হয়। আগ বাড়িয়ে লোকের সঙ্গে মেলামেশাও করতে পারেন না তিনি।
জনপ্রিয় হলেও সেই জনপ্রিয়তাকে অভিনেতা সাফল্য বলতে নারাজ। বলেছেন, “সাফল্য এবং জনপ্রিয়তার মধ্যে সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে। সিরিয়ালে অভিনয় করে আমি লোকের মধ্যে জনপ্রিয় হয়েছি।"
বলেছিলেন, "কিন্তু যেদিন বড় ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পাব এবং সাফল্যের সঙ্গে নিজেকে তুলে ধরতে পারব, সেদিন নিজেকে সাকসেসফুল ভাবতে পারব।”